ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক আব্দুস সামাদ চৌধুরী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী কাজ করার অনুমতি নিয়ে সে লাপাত্তা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকার একটি অংশে ও প্রধান ফটক থেকে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় পযর্ন্ত সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে রাস্তাকরণের কাজ চলছে। রাস্তা নির্মাণের বালু ইটের খোয়া ও সিমেন্টের তৈরী মসলায় বালু ও ইটের খোয়ার পরিমাণ বেশি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ইটের খোয়া পিকেটের বদলে পুরাতুন ইটের তৈরী করা দেওয়া হচ্ছে,যার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা। তাছাড়াও সি সি ঢালাইয়ের জন্য ব্যবহৃত লোহার রড নিয়মুনায়ায়ী না দিয়ে যেন তেনভাবে কভারিং ছাড়া ইটের সলিংয়ের সাথে বসিয়ে ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। এমনকি রাস্তা ঢালাইয়ের পূর্বে খননকৃত রাস্তাটি সামান্যতম রোলার বা লেভেল করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী। এছাড়া রাস্তার ঢালাইয়ে ৪ইঞ্চি দেওয়ার নিময় থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে পৌনে ৩ ইঞ্চি পরিমাণের ঢালাই। তবে নিয়োজিত মিস্ত্রি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেউ কাজের ফরমেটের কাগজ দিতে না পারায়। কাজগুলো সত্যিকারের কিভাবে আছে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কাজে অনিয়ম হচ্ছে অভিযোগ তুলে কাজ আটকে দেন স্থানীয় কিছু মানুষ। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা জানতে চান এ কাজের বিষয়ে। এসময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, কাজ নিয়ে আমিও ঠিকাদারের লোকজনকে বলেছি। তাছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী জিল্লুর সাহেব এখানে আসলে আমার সাথে দেখাটা পর্যন্ত করে না। তাই তিনি উপস্থিত স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, আমিও চাই কাজটি ভাল হোক এ জন্য আপনারাও আমাকে সহযোগিতা করেন।
এসময় কথা হয় রাস্তাকরণের হেড মিস্ত্রি রবিউলের সাথে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে কাজ দেখিয়ে দিয়েছে আমি সেভাবেই কাজ করছি। এখানে আমার কিছু করার নেই। পরে মিস্ত্রি রবিউলের কাছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মুকুল ট্রের্ডাস রংপুরের ঠিকাদার সাদ্দামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ১০ লাখ টাকা বরাদ্দের ৯শত ১৪ ফিট দৈর্ঘ্য ৮ফিট প্রস্থের রাস্তাকরণের কাজ চলছে। কাজের প্রকৌশলী যেভাবে বলছে সেভাবেই কাজ হচ্ছে।
কাজটির প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, তিনি বলেন কাজ নিয়মনুযায়ী হচ্ছে। আপনারা অনিয়মের কথা বললেই হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার লোকবল কম সব কিছু দেখা সম্ভব না । বা কাজে থাকা সব সময় সম্ভবও হয় না।
সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, কাজ করলে অব্যশই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার তদারকিতে ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তার দায়বদ্ধতা রয়েছে।