সোমবার , ১৪ জুন ২০২১ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হিমাগার গুলোর সার্বিক সহযোগিতায় আলু চাষী,

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুন ১৪, ২০২১ ৭:২১ অপরাহ্ণ

ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীরা আশাতীত সাফল্য অর্জন
বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের বীরগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হিমাগার গুলোর সার্বিক সহযোগিতায় আলু চাষী, ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীরা আশাতীত সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন, চাকাই এলাকায় হিমাদ্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোঃ সাদিকুল ইসলাম, বটতলী’র রাহবার কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার রুবেল ইসলাম, দলুয়া ও শীতলাই দুই শাহী হিমাগারের পক্ষে ম্যানেজার হিরু ইসলামসহ স্থানীয় লোকজন। কাঁচামাল তথা আলু পঁচনরোধে হিমাদ্রি, রাহবার, শাহী হিমাগার বীরগঞ্জে অসামান্য অবদান রাখায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উপকৃত আলু চাষী, ব্যবসায়ী এবং আড়ৎদার গণ।উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম মাজু, ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজ হাটের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, আদর্শ আলু চাষী আবু বক্কর সিদ্দিক ও আলহাজ্ব শাহিনুর ইসলাম, হাবলু হাটের মোঃ জাকিরুল ইসলাম,পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মোঃ মাহবুব হোসেন, রেজাউল করিম, মোঃ আব্দুল মজিদ, মরিচা ইউনিয়নের মোঃ ছকিম উদ্দিন, সুজালপুর ইউপির মোঃ তরিকুল ইসলাম সহ অনেক আদর্শ কৃষক তথা আলুচাষী বাস্তবতার নিরিখে তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার ইতিহাস বর্ননা করেন।আলু চাষ তাদের জীবনের দৈন্যদশা দুর করেছে, সংসারে এনেছে সফলতা। সমাজে স্বস্তি ফিরে এসেছে।উপকারভোগীরা বলেন, প্রতিটি হিমাগারের মালিক ও কর্তৃপক্ষ অকল্পনীয় ঝুঁকি নিয়ে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠান সমুহ স্থাপন করেছে।তারা নিরলসভাবে শ্রম, মেধা, অর্থ জোগান দেয়া ছাড়াও কৃষকদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে কিভাবে আলুর ফলন বৃদ্ধি করে লাভবান হওয়া যায়, সেজন্য হাতেনাতে শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, রুটিন মাফিক সভা-সমাবেশ-সেমিনার করা হয়।সুচারু ও সুশৃঙ্খলভাবে দেড় যুগের অধিক সময় থেকে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করণ শিল্পের সক্রিয় ভুমিকায় পাল্টে গেছে অবহেলিত পশ্চাৎপদ অঞ্চল বীরগঞ্জ। হিমাগার গুলোর কারণে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে কৃষি খাতে। অন্ধকার থেকে হয়েছে আলোকিত। সৃষ্টি করেছে হাজারো মানুষ ও শত শত পরিবারের কর্মসংস্থান। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে।এই সেক্টরে কর্মরত দায়িত্বশীল বেসরকারি চাকুরীজীবী, শ্রমিক মেহনতি মানুষেরা দৃঢ়রতার সাথে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এসব হিমাগারে চাকুরী করে উপার্জিত অর্থে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি।অপরদিকে ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্ত্বভোগিরা মুনাফা অর্জন করে বাড়িঘর তৈরী, দামী দামী ব্রান্ডের গাড়ী কিনে উন্নতির শিখরে উঠছে। এসব কল্পকথা নয়, চাক্ষুস প্রমাণ।চাকাই মৌজায় হিমাদ্রি লিঃ স্থাপন হওয়ার পুর্বে সেখানকার চিত্র ছিল ভুতূরে, শাহী কোল্ড স্টোর বাদিয়া পাড়ায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নাম হয় শীতলাই, এটি অতিতে ছিল ডেঞ্জারাস জোন, চিহ্নিত ডাকাতি স্পট, সন্ধ্যার পর জন চলাচল ছিল মারাত্মক ঝুঁকিপুর্ণ।এখন তার চেহারা একেবারে পরিবর্তন সারাদিন জনসমাগম, দিবারাত্রী আলোর ঝলকানি। অবিরাম নির্ভয়ে পথচলা, নেই কোন সংশয়।প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চল বটতলীতে রাহবার ও দলুয়া হাটের অদূরে শাহী হিমাগারের আরেক স্থাপনা, গ্রাম বাংলাকে রূপান্তর করেছে শহরতলীতে। সত্যিকার অর্থে হিমাগার সমুহের অবদান লিখে শেষ করার মত নয়।বীরগঞ্জে উৎপাদিত সুন্দর,সুস্বাদু বিভিন্ন জাতের আলু বিদেশে রপ্তানীযোগ্য, কৃষকের অর্থ উপার্জনের মূল অবলম্বন হিসেবে স্বীকৃত তাতে কাওরো দ্বিমত নেই। অসংখ্য অগনিত আলু চাষী ও ব্যবসায়ী এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগী মোঃ এনামুল, আজিজুল, কামাল পাশাসহ সম্পৃক্তরা অকপটে জানান হিমাগারের সার্বিক সহায়তা আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন এনে দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। \হিমাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কৃষককে শিক্ষা দেয়া হয় অতিমাত্রা আলু উৎপাদনে নিত্য-নতুন কলা কৌশল। তাছাড়া স্বল্প সুদে ঋন সুবিধা। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি একশ্রেণির তথাকথিত স্বার্থানেশী মানুষ, এমন উন্নয়ন মুখী, জনগুরুত্বপূর্ণ কৃষি শিল্প, হিমাগার ব্যবসার ধ্বংস নামাতে তথা- (একমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে তার ও কু-পরামর্শে, যিনি ইতোপুর্বে তার জীবন যৌবন মালিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখিত শিল্পগুলোতে বড় পদাসিন হয়ে কাটিয়েছেন) চাকুরীচ্যুৎ অথবা স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অবসর নেয়া বা চাকুরী ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যক্তিটি তিলকে তাল বানিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।. তিনি নেপথ্যে নেতৃত্ব দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলে মরিয়া হয়ে উঠেপড়ে লেগেছেন। যা কখনো কাম্য নয় এবং কখনো সফল হবে না। কারন মালিক পক্ষ সজাগ হয়েছে, তাঁরা মনে করেন আর নয়, অনেক খেলেছেন। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো। চাকুরী ছেড়ে দিয়ে নেতা সেজে চলমান ব্যবসার ব্যঘাত সৃষ্টি করার জন্য আন্দোলের নামে ভারাটে লোকজন দিয়ে মানববন্ধন করে জনগনের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজেকে মস্ত ভাল মানুষ প্রমাণ করতে চান। সে আশায় গুড়েবালি। ঐ স্বার্থপর যিনি হিমাগার সমুহে দীর্ঘদিন চাকুরীকরে জীবীকা নির্বাহ করেছেন, সন্তান সন্তানাদিকে লিখাপড়া শিখিয়েছেন, নিজে আলীসান জীবন যাপন করছেন, তার পক্ষে এমন নোংরামি আদৌ কাম্য নয়, মানায় না। এতবড় জনহিতকর প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নামসর্বস্ব চাষী ও মুনাখোরদের লেলিয়ে দিয়ে ও কোথাও কোথাও সাথে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, যোগসাজশি কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। যা স্পষ্ট মানহানিকর। চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট এবং তাড়াই শিল্পের চালিকাশক্তি। সামান্য ভুল বুঝাবুঝি, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব কিন্তু প্রতিহিংসা বসত এমনটি করা হচ্ছে। আমরা শান্তিপ্রিয় কখনো অশান্তি পছন্দ করি না।হিমাগার মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা জানান, তারা রংপুর বিভাগীয় কোল্ড স্টোরেজের ৭ জুন’২০২১ খ্রিঃ মালিকগণেরর সভার সিদ্ধান্ত ও দিনাজপুর জেলা’র সাথে সমন্বয় করেই ভাড়া নির্ধারণ করেছেন।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের কুলখানি ও দোয়া মাহফিল

তথ্য প্রচারে স্মার্ট কৌশলের ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

বীরগঞ্জের পল্লীতে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে লাশ হলেন শিশু আদিল

জনপ্রিয়তার শীর্ষে জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী সফিকুল ইসলাম

তেঁতুলিয়ায় যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

পীরগঞ্জে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা

পীরগঞ্জে আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মেধাকে কাজে লাগিয়ে মানব জীবনে সফলতা অর্জন করতে হবে  -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

বিরলে ট্রাক্টরের চাপায় মহিলার মৃত্যু, আহত-৪

প্রয়াত কমরেড হায়দার আকবর খান রনো’র শোক সভায় বক্তারা