আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও্)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় গত ২৯ মে থেকে ঢাকা মিরপুর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিউশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি অসুস্থ হওয়ার পরে রাণীশংকৈল উপজেলা ইউএনও শুণ্যতায় পড়ে। আর উপজেলাতে ইউএনও না থাকার কারণে আটকে আছে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক কাজ।
এরমধ্যে জেলা প্রশাসকের আদেশক্রমে গত ২জুন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রীতম সাহা ধারাবাহিক প্রশাসনিক কাযর্ক্রম পরিচালনার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেন।
অদ্যবধি তিনি প্রশাসনিক কাজই করছেন। তবে অর্থনৈতিক কোন কাজ করতে পারছেন না।
ভারপ্রাপ্ত ইউএনও প্রীতম সাহা অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য কোন দায়িত্ব না পাওয়ায় খুব জটিলতায় পড়েছে উপজেলা প্রশাসন।
ইউএনও’র স্বাক্ষরের অভাবে আটকে রয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন উন্নয়ন কাজগুলোর বিল, ইউএনও অফিসের কর্মচারীদের বিলসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সমস্ত অর্থনৈতিক লেনদেন।
উপজেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লব বলেন, ইউএনও’র স্বাক্ষরের কারণে আমাদের অনেক বিল আটকে রয়েছে। এভাবে বিল আটকে থাকলে তো এলাকার উন্নয়ন কাজে সমস্যা।
কারণ টাকা ছাড়া-তো আর কাজ করা সম্ভব না। তারপরেও জুন মাস হল বাৎসরিক হিসেব চুড়ান্ত করণের প্রয়োজনীয়তার আলোকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ইউএনও কে অর্থনৈতিক দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সহকারী (দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিস সুপার) আতিকুর রহমান বলেন, ইউএনও’র স্বাক্ষরের অভাবে আমাদের বেতনসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল আটকে রয়েছে।
আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ইউএনওকে অর্থনৈতিক দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ্য করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ভারপ্রাপ্ত ইউএনও প্রীতম সাহা মুঠোফোনে জানান, অর্থনৈতিক লেনদেন করার ক্ষমতা পেলেই এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিভাগীয় কমিশানর জেলা প্রশাসকের নিকট ক্ষমতা অর্পণের পত্র দিলেই আমি দায়িত্ব পেয়ে যাব। তিনি বলেন, আশা রাখি আজ সে দায়িত্ব পেয়ে যেতে পারি।