স্টাফ রিপোর্টার:
লালনসংগীত দিয়ে গান শুরু করেছিলেন অংকন। নিজের কণ্ঠে প্রথম তুলেছিলেন, ‘‘খাচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।’’ অল্প বয়স থেকেই লোকসংগীতের প্রতি আগ্রহ তাঁর। শিল্পী ফরিদা পারভীনকে কল্পনা করেন নিজের আইডল হিসেবে। পরিবারের নিবিড় যত্ন আর নিজের অক্লান্ত পরিচর্চায় মোহনীয় সুরে প্রকাশ করেছেন অসংখ্য মৌলিক গান। নিজ জেলা চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ‘আড়ং ডেইরি চ্যানেল আই বাংলার গান ২০১৫’-এ অংশগ্রহণ করে নেন তিনি। ষাট হাজার প্রতিযোগীকে পিছনে পেলে জয় করেন দ্বিতীয় রানার আপ-এর স্থান।
আইপিডিসি আমাদের গান-এ অংকন ও গামছা পলাশের গাওয়া ‘বেতের আড়া’ গানটি মাত্র এক মাসের মধ্যে একত্রিশ লক্ষ ভিউ হয়। এছাড়াও আরটিভি ফোক স্টেশনে তাঁর গাওয়া ‘চেংড়া বন্ধুয়া’ ১৮ মিলিয়ন-এর অধিক ভিউ হয়েছে।
নিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে রাধারমণের চারটি গানের ম্যাশাপ করেছেন অংকন। ‘যুগল মিলন হইলো, ‘আমি রবো না রবো না গৃহে, ‘জলের ঘাটে‘ এবং ‘আসবে শ্যামকালিয়া’-এই চারটি গানই ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন তিনি।
‘পদ্মাপুরাণ’ চলচ্চিত্রের জন্য একটি ফোক গানের প্লেব্যাক করেছেন অংকন।
অংকনের প্রথম মৌলিক গান ছিল, ‘ভাল থাকতে দিলি না’। এরপর আরেকটি মৌলিক গান করেন।
রবিউল হাসান জীবন-এর লেখা সুরের জাদুকর মোহাম্মদ মিলন-এর সুর করা ‘বিচ্ছেদের করাত’। অসাধারণ গায়কীর কারণে তাঁর সব গানই জনপ্রিয় হয়।
সম্প্রতি ‘উর্বশী গানের সিঁড়ি’র ব্যানারে ‘জল খেলাই’ শিরোনামের একটি মৌলিক গান করেছেন অংকন। গানটির কথা লিখেছেন জহিরুল ইসলাম বাদল, সুর করেছেন প্লাবন কোরেশী। মিউজিক করেছেন এএইচ তূর্য। এবারের ইদ উপলক্ষে আগামী ২০ জুলাই সন্ধ্যা ৭:৩০ টায় গানটি উর্বশী ফোরাম ইউটিউব চ্যানেলে অনএয়ার হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ইদের আগে উর্বশী গানের সিঁড়িতে আরো একটি মৌলিক গানে যৌথভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন অংকন এবং গামছা পলাশ। অ্যালবামের নাম ‘চান্দের কোলে’।