মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
খেত থেকে বেগুন তুলে বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন চাষিরা। ছবিটি গত বুধবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে তোলা। চলতি মৌসুমে দেড় বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করে আড়াই লাখ টাকার বেশি লাভ করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের চাষি সামশুল আলম। আরও এক মাস টানা ফলন আসবে ওই বেগুন খেত থেকে। পাশের খেতে একই গ্রামের রেজাউল করিমও অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় সিদ্ধান্ত বদল করে আলুর পরিবর্তে ৪৮ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেন। তবে তাঁর বেগুন খেতের গাছের অবস্থা ভালো না থাকায় খেত থেকে ১০ দিনের বেশি ফলন পাবেন না বলে রেজাউল জানান। সামশুল আলম গত বুধবার বেগুন তোলার সময় সাংবাদিকদেরকে জানান, দেড় বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করতে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। মৌসুমের শুরুতে ৬০ টাকা কেজি এবং মৌসুমের শেষ পর্যন্ত ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি তিন দিন অন্তর খেত থেকে বেগুন বিক্রি করছেন।
১০ দিনের মতো ফলন পাবেন বলে আশা করে রেজাউল করিম বলেন, ‘এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেগুনের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে তিন দিন অন্তর সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ মণ বেগুন তুলে বাজারে বিক্রি করেছি। এখন শেষ সময়েও ৪ থেকে ৫ মণ বেগুন তোলা যাচ্ছে।’ বালিয়াডাঙ্গী
উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পুরো উপজেলায় ৩১০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে আর আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে আলুর পাশাপাশি বেগুন চাষ বৃদ্ধি করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আলু ছাড়া সব সবজির দাম ভালো পেয়েছেন কৃষকেরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেগুনের ফলন ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে বেগুন চাষ আরও বৃদ্ধি করতে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।’