স্যার পরেশ চন্দ্র দাস এই ধরাধামের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান রাজবাটী গর্ভেশরী শ্মশানে সম্পন্ন হয়েছে। দিনাজপুর গুঞ্জাবাড়ী মাস্টার পাড়ার নিবাসী স্যার পরেশ চন্দ্র দাস গত ১০জুন দিবাগত রাত ৮: ৪০ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বৎসর। তিনি দুই পুত্র ১। পার্থ প্রতিম দাস, ২। অমিত দাস ও সহধর্মিনী সন্ধ্যা রানী দাসসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি কর্মময় জীবনে ১৯৭২ সালে দিনাজপুর জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি রাজবাটী সার্বজনীন দূর্গা পূজামন্ডপ কমিটির সভাপতি, রাজবাটী সনাতন সংঘের সভাপতি, গর্ভেশ্বরী শ্মশান সংস্কার কমিটির উপদেষ্টা ও রাজবাটী হরিসভা কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। তাঁর এই অসময়ে চলে যাওয়ায় গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখা, রাজবাটী সার্বজনীন দূর্গা পূজামন্ডপ কমিটির সদস্যবৃন্দ, মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, রাজবাটী সনাতন সংঘের সদস্যবৃন্দ, মহল্লার ব্যবসায়ীগন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাক্সক্ষীগন।