অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেয়া ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার এক তরুনী গিয়েছিল ঢাকায় চাকুরী করতে। চাকুরীসুত্রে পরিচয় হয়ে অজ্ঞাত এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তরুনীকে নিয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পাড়ি জমায় ঐ যুবক। পরে ঐ তরুনী প্রতারনার ফাঁদ বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয় চিরিরবন্দর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানুর কাছে।
পরে চিরিরবন্দর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভোলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে ভোলা সদরের ইউএনওর সাথে যোগাযোগ করলে, ভোলার ইউএনও সেই তরুনীকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশএর দুইজন প্রতিনিধিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে ভোলার সদর থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দের হাতে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হাসানের মাধ্যমে সেই তরুনীকে তুলে দেন চিরিরবন্দর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু ।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হাসান বলেন, তরুনীকে তার পরিবারের কাছে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান একটি মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এদিকে ভোলা সদরের নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে সেই তরুনীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পাশাপাশি তার একটি কর্মসংস্থানের অনুরোধ জানান চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালিদ হাসান ।
চিরিরবন্দর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু বলেন, প্রতারকের কাছ থেকে পালিয়ে আসা তরুনীকে নিজ জিম্মায় রেখে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে হস্তান্তরের ব্যাবস্থা করি। তরুনী চিরিরবন্দরের মমিনুল নামে একজনের সাথে এসেছিল এবং বাড়ীতে তার স্ত্রী আছে দেখে সে পালিয়ে আসে। তার পরিবার চাইলে বিভিন্ন আইনী সহায়তা প্রদানেরও আশ^াস প্রদান করি। এছাড়া সকল অভিভাবকদের নিকট তাদের সন্তানদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়ারও আহবান জানান তিনি ।