প্রতারক সোনিয়াকে গ্রেফতার, কঠোর শাস্তি ও পাওনা ১লাখ ১২ হাজার টাকা ফেরত প্রদানের দাবিতে সম্মেলন করলেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনাযতনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত দাবি করেন দিনাজপুর পৌরসভা এলাকার চাতরা পাডা মহল্লার সঞ্জয় গুপ্তের স্ত্রী ঊষা সরকার।
এ সময লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শহরের রায় সাহেব বাড়ী এলাকার বাসিন্দা মোঃ মিন্টু’র কন্যা সোনিযা পৌরসভার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আমাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা ও বয়স্ক ভাতা’র মাঠকর্মী বানানোর মিথ্যা আশ্বাস, ভুয়া পরিচয়পত্র ও মোটা অংকের বেতনের কার্ড করে দিবে মর্মে ৭০ জনের কাছে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের তিনকপি ছবি এবং তাদের পরিবারের শিশুদের টিকার কার্ডের ফটোকপিসহ প্রত্যেকের কাছে ১৬০০ টাকা করে মোট ১ লাখ ১২ হাজার টাকা জমা নেয়। এসময় সোনিযা বলে ইসলামী শাহজালাল ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যেককে সরকারি মাতৃত্ব ভাতা ও বয়স্কভাতা প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে আমরা ভুক্তভোগীরা ইসলামী শাহজালাল ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন আপনারা প্রতারিত হয়েছেন। এই ধরনের কোন তালিকা বা ব্যক্তির একাউন্ট আমাদের ব্যাংকে নেই। এরপর সোনিয়াকে ধরা হলে সে আমাকেই দোষারোপ করে এবং গ্রাহকদের বলে যাকে টাকা দিয়েছেন তার কাছ থেকেই টাকা ফেরৎ নেন। সোনিয়া চাতুরির সাথে এলাকায় আমাকেই প্রতারক বানিয়েছে। তার কাছে এলাকার মানুষের দেয়া টাকা ও কাগজপত্র ফেরৎ নিতে না পেরে আমি দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি,যার নং ২০ তাং ৬/০৬/২২। আইনের দ্বারস্থ হয়ে থানায় মামলা করেও আমি সুবিচার পাইনি। প্রতারক সোনিয়াকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো গত ১৩/০৬/২২ তারিখে সোনিয়ার করা শান্তি ভঙ্গের মামলায় আমি আসামি হয়ে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছি।
আমি সংশ্লীষ্ট প্রশাসনের কাছে প্রতারক সোনিয়ার অপকর্মের কঠোর শাস্তি চাই। সেই সাথে তাকে গ্রেফতার ও তার কাছে টাকা উত্তোলনে আমাদের সহযোগিতার দাবি করছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ঊষা সরকারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার স্বামী সঞ্জয় গুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন দীপা গুপ্ত,সাবিত্রী রায় ও কছিরন বেগম প্রমুখ।