ক্ষত্রিয় সমিতির মহানায়ক, উপনয়ন সংস্কারের পথ প্রদর্শক ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ৮৭তম তিরোধান দিবস পালিত হয় পূজার্চনা, ভক্তিসঙ্গীত, গীতা পাঠ ও ধর্মীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে।
শনিবার সুইহারী ক্ষত্রিয় সমিতির পার্থ সারথী মন্দির প্রাঙ্গণে ক্ষত্রিয় সমিতি দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক, সাদা মনের মানুষ ডাঃ বসন্ত কুমার রায় এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারন সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায়। ঠাকুর পঞ্চনন বর্মার কর্মময় জীবনের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন এ্যাডঃ অক্ষয় কুমার রায়, ড. লক্ষী কান্ত রায়, অধ্যাপক কালি পদ রায়, ভুপতী বর্মন রায়, এ্যাডঃ নিখিল চন্দ্র রায় ও ডাঃ সুধা চন্দ্র রায়।
সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ বসন্ত কুমার রায় বলেন, ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ধর্মীয় চেতনাবোধকে জাগ্রত করতে না পারলে ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ঠাকুর পঞ্চনন বর্মার নেতৃত্বে ১৯১০ সালে ১লা মে রংপুরে ক্ষত্রিয় সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭০ শতক জায়গায় ছাত্রাবাস, মন্দির রয়েছে। তিনি নির্যাতিত, নিপিড়িত এবং অবহেলিত ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তার সাহস দেখে তৎকালীন ব্রিটিস সরকার তাকে রায় সাহেব উপাধীতে ভূষিত করে।