বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ সভাপতি, মাটি ও মানুষের জননন্দিত নেতা মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের অঙ্গীকারই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার সেই উৎসবকে সার্বজনীন করতেই আজকের এই মিলনমেলা এবং এই সম্প্রীতি হচ্ছে বাংলাদেশের গর্ব বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে অটুট রাখতেই আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর ২০২২) বিকেল বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নে ধনগাঁও মন্দির প্রাঙ্গণে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ‘বিজয়া পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্গোৎসব পরবর্তী আজকের এই পূজা পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান প্রমাণ করে বাংলাদেশের সম্প্রীতি দৃঢ়। এই সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করবার জন্য এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে আঘাত করেছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ অসাম্প্রদায়িক মানুষ কঠোর হতে তার নিবৃত্ত করেছে প্রতিরোধ করেছে
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মহেশ চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. জাকারিয়া জাকা, সাধারন সম্পাদক মো. নুরিয়াস সাঈদ সরকার, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ নুর ইসলাম নুর, বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রেমানন্দ রায়, সাধারন সম্পাদক দীপংকর রাহা বাপ্পি, শিবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায় কার্তিক, শিবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তপন কুমার রায়, সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, সাতোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো, ইসাহাক আলী, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিমল চন্দ্র রায় প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক গোপাল দেব শর্মা। উল্লেখ্য যে , প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে বীরগঞ্জ পৌরসভায় বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি পালন ও উদযাপন করা হলেও এবারই প্রথম বারের মতো উপজেলার শেষ সীমানা এলাকায় অবস্থিত ১ নং শিবরামপুর ইউনিয়নে বিজয়া পুনর্মিলনী উদযাপনের আয়োজন করা হয়। সেই উপলক্ষে কয়েক হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী ধর্মপ্রাণ মানুষসহ বিভিন্ন ধর্মের নারী,পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ, বনিতাসহ সকল শ্রেণী- পেশার মানুষের সমাগমে ব্যাপক উৎসবমুখর পরিবেশে এক বিশাল মিলনমেলায় পরিণত হয় এই বিজয়া পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানটি।