রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ আদালতে মামলা করায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না ৭ম শ্রেণী মাদ্রাসার পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফারজানার। উল্টো অপমানিত হতে হয়েছে প্রশাসনের কাছে ঐ শিক্ষার্থীকে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকার যেখানে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী রোধে আনন্দ স্কুল সহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করছে। সেখানে চাপোর পারব্বর্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি দাবী অভিভাবকের । এনিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষা গ্রহনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসকের দপ্তরে।
অভিযোগসূত্রে জানাযায়, গত ২৭ নভেম্বর রাণীশংকৈল উপজেলায় বার্ষিক পরীক্ষা অনূষ্ঠিত হয়। সে পরীক্ষায় ৭ম শ্রেণী শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে যায় চাপোর পারব্বর্তীপুর দাখিল মাদ্রাসায়। সে সময় মাদ্রাসা সুপার তাকে বলেন যে তোমাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। কারণ তোমার ছাত্রীত্ব বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি অভিভাবক মহল জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে অবগত করেন। সেসময় ইউএনও সাহেব ঐ শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে দেখা করতে বলেন। পরীক্ষার্থী ফারজানা ও পিতা আনিকুল ইউএনও’র বাস ভবনের সামনে দেখা করতে গেলে ইউএনও তাদের ধমক দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং বলেন যে তোমার মেয়েকে মাদ্রাসায় পড়াতে হবে না, ইসলাম শিক্ষা গ্রহন করে কি লাভ। তোমার মেয়েকে বিরাশি স্কুলে পরীক্ষা দেওয়াও। তাছাড়া তুমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছ।
এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রমজান আলী বলেন, তারা আদালতে মামলা করেছে সব জবাব আদালতে দেব। তাছাড়া ঐ শিক্ষার্থীর ছাত্রীত্ব বাতিল করা হয়েছে। বে-সরকারি নীতিমালায় একজন শিক্ষার্থীর ছাত্রীত¦ কি প্রক্রিয়ায় বাতিল করতে হয় জানতে চাওয়া হলে তিনি তা জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির বলেন, যেহেতু সে শিক্ষার্থীর নাম অন্য স্কুলে আছে সে কারণে তার ছাত্রীত্ব বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর আনিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বিজ্ঞ রাণীশংকৈল সহকারী জজ আদালত ঠাকুরগাঁয়ে ভূয়া ভোটার তালিকা করা এবং মাদ্রাসা সুপারের ভাই নিঃসন্তান মোজাম্মেল হককে ভোটার করার অভিযোগে মামলা করেন। যাহার মামলা নং ৭৩/২০২২।