দিনাজপুরে কনস্টেবল নিয়োগে পরীক্ষার্থী ও প্রতারক চক্রের সদস্যসহ ১২জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের ছয়টি প্রবেশপত্র, ১০০ টাকা মূল্যমানের ৯টি ননজুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি ফাঁকা চেকের পাতা, প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও নগদ ৫০হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশ। ইতিপূর্বে এ ঘটনায় ৫জন কারাগারে রয়েছে।এ পর্যন্ত তিনটি মামলায় ১৭জনকে আটক করা হলো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।
আটককৃতরা হলেন- দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর কৈকুড়ি গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৩৮), নীলফামারী সদর উপজেলার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিশকাতুল ইসলাম (২৩), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দার কচুবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রোকনুজ্জামান(৩০), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার হেলেঞ্চার সালটির হাট গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে নাহিদ ইউসুফ (১৮), একই উপজেলার সালটি পাড়া গ্রামের বাটুল সরকারের ছেলে শাহরিয়ার সরকার (১৮), রংপুর সদর উপজেলার হরিদাতপুর গ্রামের কারিমুল ইসলামের ছেলে মিষ্টার রহমান (১৮), রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মদবাই পাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে মোহাইমেনুল (১৮), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফুলচৌকি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রাজা মিয়া (১৮), কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মোকছেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (১৮), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিংপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে পজিরুল ইসলাম (৪৩), জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে সাইফুল রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম রিপন (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মহসীন আলম (৩৫)।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, দিনাজপুরে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের জন্য ১১-১৩ ফেব্রæয়ারি যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। যারা এ যাচাইয়ে উর্ত্তীণ হন। তাদের লিখিত পরীক্ষা ১৮ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রংপুর, দিনাজপুর,নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাও জেলার এই জালিয়াাত চক্রটি বিস্তৃত অবস্থায় অবস্থান করে। ১৯ থেকে ২২ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলা থেকে এই প্রতারক চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ছয়জন পরীক্ষার্থী, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী ও পাঁচজন দালাল চক্রের সদস্য রয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন কারাগারে আছে। পরে আটক ১২জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ,গত ১১ফেব্রæয়ারী থেকে দিনাজপুরের পুলিশ লাইন মাঠে পুলিশে ভর্তি পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। সেই পুলিশের কনস্টেবল ভর্তিও জন্য ভুয়া পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। পরে নিজের ছবি পরিবর্তন করে লিখিত পরীক্ষাও প্রক্সি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই চক্রের সদস্যদেরকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটক প্রক্সি পরীক্ষার্থীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই এ পর্যন্ত তিনটি মামলায় ১৭জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।