বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আত্রাই নদী থেকে বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে ড্রেজার মেশিন ব্যবহারের ফলে নদীতে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে কৃষি জমি। বালু পরিবহনে ড্রাম ট্রাক ব্যবহারে নষ্ট হয়েছে গ্রামীন সড়কগুলি। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কিছু প্রান্তিক চাষী।
এরই প্রতিবাদের শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের ঝাড়বাড়ী শান্তির মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে এলাকার সাধারন মানুষসহ শতাধিক কৃষক গ্রহণ করে।
কৃষক নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে কৃষক মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ মিজানুর রহমান, আরশেদ আলী, জামতলী জনকল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইউসুফ আলী, শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হোক, গড়ফতু যুব পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ও ঝাড়বাড়ী পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের আহবায়ক শেখ মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আত্রাই নদী পাড়ের জমিতে পাট, ধান, সরিষা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়। এখানকার মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই চরের ফসল। নদী হতে দীর্ঘ দিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে অবাধে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার ফলে ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে শত শত বিঘা আবাদি জমি। নদীর বালু পরিবহন ড্রাম ট্রাক ব্যবহারের ফলে শান্তির মোড় থেকে আত্রাই নদীর পাড় পর্যন্ত রাস্তাটি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ সড়কটি দিয়ে সারাদিন বালু ভর্তি ট্রাক চলার কারণে বালু আশপাশের দোকানসহ পথচারীদের চোখে মুখে ঢুকে পড়ছে। বিরামহীন ট্রাক ও ড্রাম ট্রাকের আবাধ চলাচলে কারণে বেশির পাকা রাস্তাটি কাচা হয়ে জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জেলা প্রশাসক।
মুঠো ফোনে এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে যদি নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয় এবং কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে এমন তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।