বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের বিভিন্ন রাস্তার পার্শে কিংবা হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে তালের কচি শাঁস। প্রচন্ড গরমের স্বস্থি এই তালের শাঁস। তাই তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে।
মৌসুমি বিক্রেতারা বিভিন্ন এলাকার গাছ থেকে অপরিপক্ক (কচি) তাল নিয়ে এসে তাল শাঁস বিক্রির পসরা নিয়ে বসেছে। আর জৈষ্ঠ্যের এই অস্থির গরমে ক্রেতারা তাল শাঁস খেয়ে স্বস্থি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ফলটি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি মানবদেহের জন্য খুব উপকারি।
রাস্তার পাশে, জমির আইলে কিংবা পুকুর পাড়ের চারপাশে কোন রকম যতœ ছাড়াই বেড়ে উঠে তালগাছ। প্রকৃতির দান এই তালগাছ মানুষের নিঃস্বার্থভাবে উপকার করছে। প্রচন্ড গরমের তালের পাখার শিতল বাতাস প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। যার প্রচলন গ্রাম-বাংলার সব জায়গাতেই দেখা যায়। আবার তালের গুড়, রস যার জুড়ি নেই। তেমনি তালের শাঁস গরম থেকে নিস্কৃতি পেতে কোমল পানীয়র স্বাদ। আর এ স্বাদ নিতে গরমের তাপদাহে অতিষ্ট মানুষ ছায়ায় বসে কচি তালের শাঁস কিনে খায়।
গরমে বেসামাল,খেয়ে নিন তাল-দিনাজপুর শহরের হাসপাতাল রোডে তালের শাঁস বিক্রেতা আব্দুর রহিম এ কথায় বললেন। তিনি জানান, একটি তালের ভিতর ৩/৪টি শাঁস থাকে। প্রতিটি শাঁস ৫-৮টাকায় বিক্রি করি। এ থেকে ভালো আয় হয়।
এখন শহরের জেলখানার মোড়, ষ্টেশন রোড, চারুবাবুর মোড়, বালুবাড়ী, পুলহাটসহ বিভিন্ন স্থানে ছাড়াও বিরামপুর, বীরগঞ্জসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে।
বিরামপুর শহরের পূর্বপাড়া মোড়ে তাল শাঁস বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, তিনি তিলকপুর এলাকা থেকে অপরিপক্ক তাল নিয়ে এসেছেন। সেই তাল থেকে শাঁস বের করে প্রতিটি শাঁস ৭/৮টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তাল শাঁস কিনতে আসা পূর্বপাড়ার ফারুক হোসেন বলেন, গ্রামঞ্চলে মৌসুমি ফল হিসেবে তালের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। দেশিও মৌসুমি ফলগুলোতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও ফরমালিন ব্যবহার করায় ফলগুলো মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।কিন্তু তালে কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। তাই ফলটি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি মানবদেহের জন্য খুব উপকারি।
বিরামপুরের প্রবীণ চিকিৎসক ডাঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, গরমের দিনে তাল শাঁস পানি শূণ্যতা দুর করে। এতে বিভিন্ন ধরণের উপকারী ভিটামিন রয়েছে। তাল শাঁস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।