বোচাগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভা প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হিসেবে গড়ে উঠলেও পৌর এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই নির্বিঘেœই চলছে ভবন নির্মাণ। অপরিকল্পিত ও অনুমোদনহীন ভবন নির্মান এবং নির্মান সামগ্রী দিয়ে রাস্তা দখল করে রাখার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা সদরে ১৫ দশমিক ২৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনজুড়ে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সেতাবগঞ্জ পৌরসভা। ইতিমধ্যেই এই পৌরসভা ‘গ’ শ্রেনী থেকে ২০১৩ সালে ‘ক’ শ্রেনীতে উন্নীত হয়েছে। দিনে দিনে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রথম শ্রেনীর এই পৌরসভা আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তোলার জন্য পরিকল্পিতভাবে ভবন বা স্থাপনা নির্মানের উপর গুরুত্বারোপ করেন সেতাবগঞ্জ পৌরসভার অধিবাসী এলাকার সাংসদ নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গত ৪ জুলাই সেতাবগঞ্জ পৌরসভার ২৬ তম উম্মুক্ত বাজেট অধিবেশন তিনি সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকায় অপরিকল্পিত ও অনুমোদনহীন ভবন যাতে নির্মাণ না করতে দেয়া হয়, সে ব্যাপারে সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়রকে মোঃ আসলামকে প্রকাশ্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সরেজমিনে পরিদর্শণ করে দেখা যায়, সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডেও বনমালী পাড়া (উপজেলা রোড) প্রধান সড়কের পাশেই ডাঃ হজরত আলী হেল্থ কমপ্লেক্স ও বহুতল আবাসিক ভবন নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উক্ত বহুতল ভবনের পাইলিং করা হয়েছে ৭২টি পিলার। গভীর খননের মাটি ও স্থাপনার নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে সড়ক দখল করে। সড়ক দখল করে অপসারিত মাটি ও নির্মাণ সামগ্রী লোড-আনলোড করায় প্রায়শই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ঘটছে ছোটো-খাটো দুর্ঘটনা। বিশাল খননকাজ করায় আশেপাশের ভবন ও বাড়ী-ঘরের ক্ষতি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বহুতল এই ভবনের নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হলেও নেয়া হয়নি পৌরসভার অনুমোদন। অনুমোদন ছাড়াই এই ভবন নির্মাণকাজ চললেও অজ্ঞাতকারনে নিশ্চুপ পৌর কর্তৃপক্ষ।
মুঠোফোনে সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ আসলামকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ভবন মালিক পৌরসভায় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, এখনও অনুমোদন দেয়া হয়নি। অনুমোদন ছাড়াই ভবন নির্মাণকাজ চলছে কেন-এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই ভবনটি একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে, তাই বিষয়টি একটু আলাদাভাবে দেখা হচ্ছে।