পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে ভবানীপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত রেল পথে পাথর পরিবহনে স্থাপিত নিক্সড গেজ রেল লাইন চুরির সংবাদ বিভিন্ন মিযিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর পশ্চিমাঞ্চলীয় রেল নড়ে চড়ে বসেছে। তোলপাড় চলছে প্রকৌশল বিভাগ রেলওয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন ও অর্দ্ধতন সংস্থাগুলোতে। ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের দুটি শক্তি শালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসবের মধ্যে পশ্চিম রেলের জিএম অসীম কুমারের নির্দেশে রাজশাহী কেন্দ্রিক একটি কমিটি অপরটি ডিআরএম পাকশী কেন্দ্রিক। রাজশাহী কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিতে যারা রয়েছেন তার হলেন, আহবায়ক অতিরিক্ত সিই/ট্রাক/পশ্চিম এবং সদস্য সিসি/আরএনবি/পশ্চিম, রাজশাহী।
অপরদিকে ডিআরএম-২ পাকশী তত্ত¡াবধানে তিন সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মধ্যে আহবায়ক রয়েছেন সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বাংলাদেশ রেলওয়ে পার্বতীপুর। সদস্যরা হলেন সহকারী সেতু প্রকৌশলী/ময়দান বাংলাদেশ রেলওয়ে সৈয়দপুর ও সহকারী কমান্ড্যান্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী।
গঠিত দু কমিটিকে কাজের যে পরিধি নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে সে সবের মধ্যে রয়েছে মধ্যপাড়া লাইনে কি কি পরিমান রেলওয়ের সম্পদ ছিল, উক্ত লাইনের কি পরিমান সম্পদ চুরি গেছে, আর কি পরিমান সম্পদ এখনো বিদ্যামান আছে, লাইনটির বর্তমান অবস্থা থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায়, মধ্যপাড়া থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত কি পরিমান সম্পদ এখনো আছে এবং ওই লাইনের ফিটিংস, রেল ও ¯িøপার চুরি প্রতিরোধে করোনীয় নির্ধারন সমূহ। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে ১ অক্টোবর এবং অপরটি ২৪ সেপ্টেম্বর। কমিটি গঠনের পর পশ্চিম রেলওয়ের এজিএম এবং জিএম পর পর দু’দিন ঘঠনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় পার্বতীপুরে প্রকৌশল বিভাগ, রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক ভাবে দৌড়যাপ শুরু করেছে। তারা চোর চক্র চিহ্নিত করন স্বার্থান্বেষী মহল নিরুপন চোরাই মাল উদ্ধার পতিত রেল পথটির জঙ্গল পরিষ্কার, রাত্রিকালীন পাহারাদার নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে রেলওয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করেছেন চুরি যাওয়া মাল উদ্ধারে। পার্বতীপুর প্রকৌশল বিভাগের পি ডাবিøউ আই আলামিনের সাথে কথা হলে জানান মধ্যপাড়ায় চুরি যাওয়া রেল লাইনের দীর্ঘ পরিধি হচ্ছে দশমিক ৮৮৩ কিঃ মিটার। ১১ গ্যাং থেকে ১১জন ওয়েম্যানকে রাত্রিকালীন প্রহরায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
পার্বতীপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী প্রধান আহসান হাবিব বলেন, ১২ অক্টোবর গভীর রাতে রঘুনাথপুর নামক গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ থেকে ৮৮ পিচ রেলের কাটা পাত উদ্ধার করা হয়েছে। এর সংযোগে রঞ্জিত কুমার রায় ৪৫ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার ঘাটপাড়া ও রামনাথপুর শেখপাড়ার হারিজুল ইসলাম ও করুনা কান্তির বাড়ি থেকে ৪ ফুট লম্বা রেলের কাটা ৬০ পিচ পাত ও ১০টি রেলের ছোট ছোট টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার ও উদ্ধারসহ অন্যান্য সকল কার্যক্রম অব্যাহত গতিতে চলছে।
বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের জিএম অসীম কুমার দুটি শক্তি শালী তদন্ত কমিটি গঠনের কথা নিশ্চিত করে জানান, মধ্যপাড়া রেল চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের কারোর রেহাই হবে না, এগুলো জাতীয় সম্পদ।