মিজানুর রহমান হরিপুর প্রতিনিধি: হরিপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম কে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বাদী এস আই আবু ঈসা জানান যে,৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের বনগাঁও শুকানি গ্রাম থেকে ১শ বোতল ফেনসিডিলসহ গেদুড়া কিসমত গ্রামের নূহু মোহাম্মদের ছেলে মহসিন আলী(৩২) কে আটক করে থানা নিয়ে আসে।
থানায় জিজ্ঞাসা বাদে মহসিন আলী গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের উসমান গনির ছেলে আব্দুর রহিমসহ আরও ৫ জনের নাম বলে। তাৎক্ষণিকভাবে হরিপুর অফিসার ইনচার্জ এস এম আরঙ্গজেব তাদেরকেও আটকের নিদের্শ দেন। সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার ঠাকিঠুকি বাজার থেকে আব্দুর রহিম কে আটক করে। পরদিন সকালে আসামীদের কোর্টে চালানের ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখি হাজতে রহিম নামের আসামি টা নেই। পরে ওসি কে জিজ্ঞাসা করি রহিম নামের আসামি টা কই? ওসি স্যার বলেন তার বউ এসে অনেক কান্নাকাটি করছিল সে নাকি আগামী ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী তাই মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। তাকে বাদ দিয়ে ধৃত ও পলাতক আসামিদের নামে মামলা দিতে বলেন। নির্দেশ মোতাবেক ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করিয়া এজাহার দেই।
এ বিষয়ে জানতে আব্দুর রহিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আটক মহসিন এর সুপারিশ করতে থানায় গেলে আমাকে আটক করে পাশের রুমে রাখে। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন।
হরিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হক বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না তবে শুনেছি রহিম নামের একজন কে আটক করার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ওসি স্যার ভালো বলতে পারবেন।
মাদক ব্যবসায়ী কে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আরঙ্গজেব মুঠো ফোনে জানান, তার বিষয়ে এলাকা হতে খোঁজখবর নেয়া হয়েছে সে কোন মাদকের সঙ্গে জড়িত না। বা মাদক ব্যবসায়ী না। তার পরিবারের সদস্যরা মূচলেকা দিয়ে গেছে সে কোন প্রকার মাদকের তদবির করতে আসবে না। বা মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকবে না। এই অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তবে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে এই ধরণের কোনো অভিযোগ পাইলে বা থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
রাণীশংকৈল সার্কেল এএসপি তোফাজ্জল হোসেনের নিকট মাদক মামলার আসামি ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপরের নির্দেশে তদন্ত চলছে । তদন্ত চলাকালীন সময়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।