শুক্রবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে কনকনে ও কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ ৭:০২ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরছে চারদিক। দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
কনকনে শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর ও বৃদ্ধ মানুষ। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। একই সঙ্গে শ্রৈত্যপ্রবাহ জেঁকে বসেছে উত্তরাঞ্চলের এ উপজেলা।

বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জে উপজেলায় সকাল ৬টা ও ১০ পর্যন্ত সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা যায়, সন্ধ্যার পরপরই ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে বীরগঞ্জ পৌরশহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। সামান্য দূরের বস্তুকে দেখা যায় না কুয়াশার জন্য। মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে বৃষ্টির মতো ঘনকুয়াশা । সঙ্গে থাকছে উত্তরের হিম বাতাস। তীব্র বাতাসের কারণে তীব্র ঠাণ্ডা ও হাড়কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। সারাদিন সূর্যের দেখা না মিললেও হিম বাতাসের জন্য তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছিল।

তবে ঘনকুয়াশার জন্য সড়ক ও মহাসড়কে চলাচল যানবাহনকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে হয়েছে। ঘনকুয়াশা আর হিম বাতাসের জন্য বেশ বিপাকে কর্মজীবী দিনমজুর,মৎস্যজীবী ও ক্ষেতমজুররা। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে মাঠেঘাটে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, হাত-পা অসাড় হয়ে যাচ্ছে। কাজে যেতেও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

তীব্র শীতের কারণে দুর্ভোগে পরেছে বয়স্ক ও শিশুরাও। প্রতিনিয়ত হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় আলু ক্ষেত ও বোরো বীজতলা নিয়েও শঙ্কায় কৃষকরা। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আগুন পোহাতেও দেখা যাচ্ছে শিশু কিশোর ও বৃদ্ধদের।

বীরগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বৃদ্ধ কফিলউদ্দিন জানান,দীর্ঘ ৮ দিন পর গতকাল সকাল ১০টার পর যখন সূর্য ওঠে তখন শীতার্তরা ঘর থেকে বের হয়ে রোদ্দু পোহাতে বসলেও বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেননি। তিন ঘণ্টা পরই আকাশ মুখ ভারি করে সূর্যকে আড়াল করে ফেলে। কিন্তু আজ আর সেই সূর্যের দেখা মেলেনি। মধ্যরাত থেকে চারিদিকে কুয়াশার মত ধোঁয়াশা এবং শিরশিরে বাতাসে আবারও তীব্র ঠান্ডা বেরে যাওয়ায় শীতার্তরা ঘরে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছেন। বৃদ্ধ মানুষ শীতের কারণে ঘরের বাহিরে বের হতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের খানসামা ঘাট পাড় থেকে আসা অটোচার্জা চালক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় জানান,দিনভর কুয়াশা, সঙ্গে হিমেল হাওয়া। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে অটোচার্জা নিয়ে বের হতেই হচ্ছে।উত্তরাঞ্চলের বীরগঞ্জে কিছুতেই কমছে না শীতের প্রকোপ। তীব্র ঠান্ডার কারণে আয়-উপার্জন অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে সারাদিন গাড়ী চালিয়ে ৭-৮ শত টাকা হতো। বর্তমানে ৩-৪ শত টাকা রোজগার করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এতে পরিবার -পরিজন নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত