পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে আমরা চায়ের ক্রান্তিকাল পার করছি। এ সময় চা চাষী, কারখানা মালিকসহ সকলকে এক হতে হবে। সবাই মিলে আমরা চা নিয়ে কাজ করবো। বর্তমানে যারা চা গাছ তুলে ফেলছেন এমনটি কেউ করবেন না। আমরা চাষীদের জন্য বিনামূল্যে চা পাতা তোলার মেশিন সরবরাহ করছি। আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে চায়ের দাম বাড়বে। তবে চা নিয়ে কোন কোম্পানী, ওয়্যার হাউজ, ব্রোকার হাউজসহ কেউ সিন্ডিকেট করলে আমরা তার লাইসেন্স বাতিল করবো। আর চাষীরা যেন পানি দেয়া বা ২টি পাতা একটি কুঁড়ির উপরে কাঁচা চা পাতা কারখানায় না দেন। সকলে মিলে গুণগত মানের চা পাতা তৈরী করতে হবে। অনেক কারখানা ভালমানের চা তৈরী করছে। বিদেশে বাংলাদেশের চা রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে। যদি আমরা ভাল বাজার ধরতে পারি তাহলে চা শিল্প আবারো ঘুরে দাড়াবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত অংশীজনদের চায়ের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ করণীয় ও চা আইন-২০১৬ অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ওই কর্মশালার আয়োজন করে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, স্মল টি অনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খোকন, বটলিফ টি কারখানার সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতী, ক্ষুদ্র চা চাষী, বিডার, বায়ার, ওয়্যার হাউসের কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় কৃষকদের ভাল মানের চা পাতা কারখানায় সরবরাহ, কারাখানা মালিকদের গুণগতমানের চা তৈরী, কৃষকদের চায়ের সঠিক দাম প্রদান ও চা আইন ২০১৬ সম্পর্কে চা সংশ্লিষ্টদের অবগত করা ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন।