বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর শহরের একটি প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজে ধীরগতির কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক জুড়ে খাল খন্দক অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে দূর্ঘটনা ও ধুলোবালুতে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে বোচাগঞ্জ উপজেলাবাসী।
জানা গেছে, দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সেতাবগঞ্জ থেকে দিনাজপুর হয়ে পার্বতীপুর পর্যন্ত বাজার এলাকা সমুহে আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মান করা শুরু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২/৩ মাস পুর্বে বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভা এলাকার স্কুলরোড থেকে মালিপাড়া রেলঘুন্টি পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত রাস্তা নির্মান কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার। প্রথমত তারা পুর্বের কার্পেটিং রাস্তা তুলে একপাশ থেকে ১২ ফিট রাস্তা ঢালাই কাজ শুরু করে। অপরপ্রান্ত দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা ফাঁকা রাখা হয়। যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তাটি আগেই খুড়ে রাখার কারনে সেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াই বৈরী আবহাওয়া কারনে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তার ধুলোবালুতে পথচারী সহ আশপাশের বিভিন্ন অফিস ও দোকান বাড়ীর মানুষেরা চরম অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এই ধুলোবালুর কারনে পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী সহ সকলকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরের আগে ও পড়ে যানবাহন ও মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী সহ আশপাশের দোকান, অফিস ও বাড়ীর লোকজনদের দূর্ভোগ বেড়ে যায়। রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানান, রাস্তার এই অবস্থায় তারা সর্তকতার সাথে গাড়ী চালালেও মাঝে মধ্যে দূর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। সড়কের মধ্যে স্থলে ঢালাইকৃত অংশে দশ ইঞ্চি রড লাইনগতভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় স্কুলগামী ছাত্রী ও পথচারীদের পরিধানকৃত কাপড়ে আটকে দূর্ঘটনা ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল রবিবার ঝাড়বাড়ী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ঢালাই রাস্তা উঠতে গিয়ে মোটর চালক মাসুদ রানা, আরোহী বোন মাসুমা খাতুন, বোনের মেয়ে শিশু কন্যা তাইনুর সহ বেশ কয়েকজন মোটর সাইকেল আরোহী গুরুত্বর আহত হয়েছেন। দিন মজুর মুরাদ হোসেন রাজু জানান, তার স্ত্রী কন্যা ও শ্যালক উক্ত সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসায় প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করলেও এখনও তারা সুস্থ্য হয়ে উঠেনি। এলাকাবাসী অভিযোগ ঠিকাদার রাস্তার কাজে ধীরগতিতে করায় এই দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রইছ উদ্দিন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, যেহেতু রাস্তাটি ঢালাই একসাথে বিভিন্ন এলাকায় চলছে সেহেতু আমরা পর্যায়ক্রমে কাজ শেষ করছি। আগামী ৫/৭ দিনের মধ্যেই সেতাবগঞ্জোর রাস্তাটির অবশিষ্ট কাজ শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। রাস্তার ধুলোবালির কারনে পথচারিদের দুর্ভোগের বিষয়ে তিনি জানান, এজন্য প্রতিদিন রাস্তায় গাড়ি দিয়ে পানি দেওয়া হচ্ছে।