বৈরী আবহাওয়ায় মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও তাপদাহ কমছেই না। এরপরেও প্রকৃতিতে নির্মল পরিবেশ। দিনাজপুর শহরের এক স্কুল ক্যাম্পাসে ফুটেছে নানান প্রজাতির ফুল। মনে হবে প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ এখানে বিরাজ করছে।ক্যাম্পাসের জলজ কর্ণারে শাপলাও ফুটেছে। অতি যতেœ ক্যাম্পাসের সতেজ গাছে গাছে নানান ফুলে সেজেছে প্রকৃতি।
প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ আর বেসিক শিক্ষা গ্রহনে ডিজিটালের ছোয়া ছাড়াও সৃজনশীল কাজে একদিকে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া থেকে রক্ষা অপরদিকে সবার কাজে মডেল হয়েছে দিনাজপুরের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী ‘স্বারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’।
এখন ক্যাম্পাসে ফোটা লাল শাপলাসহ নানান ফুলে ফুলে সুবাসিত নান্দনিক বাগান এবং একই সারিতে স্মৃতিসৌধ ও ‘শহীদ মিনার’ আর মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র সবাইকে আকর্ষিত করছে। লাল-সবুজ এ ক্যাম্পাস নতুন কিছু করার স্বপ্নও দেখাচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে।
বিদ্যালয়ের সহকর্মীগণ ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতায় সবুজ ক্যাম্পাসে আকর্ষিত করছে ফোটা শতাধিক প্রজাতির ফুল।কোলাহল মুক্ত পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য উপভোগ্য হয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাকৃতিক আবহে শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্য ক্যাম্পাসকে প্রকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। গড়ে তোলা নান্দনিক বাগানে শাপলাসহ দেড় শতাধিক উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে যার চল্লিশটি প্রজাতিই দুষ্প্রাপ্য। সবার অতি যতেœ তাই সতেজ রয়েছে গাছগুলো।
সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায় জানান, দাবদাহে ক্যাম্পাসে অতি যতœ নেওয়ায় নানান জাতের সতেজ গাছেও ফুটেছে ফুল আর ফুটেছে শাপলাও। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেসিক শিক্ষার সবকিছু ছাড়াও প্রাকৃতিক ও ডিজিটাল মাধ্যমে ছোয়া দিয়ে গড়ে তুলতে চাই। দিনাজপুরের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবার কাছে যেন মডেল হয়ে উঠে।এরই মধ্যে ক্লাশরুমগুলো ডিজিটাল করা হয়েছে। মাল্টিপল প্রতিটি ক্লাশ রুমে রয়েছে শিক্ষার্থীদের অধ্যায় অনুযায়ী শিক্ষা উপকরন। পুরো ক্যাম্পাস ডিজিটালের আওতায় নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ব্যতিক্রমধর্মী ২ টাকার ব্যাংক চালু এবং হস্তশিল্প তৈরী এবং বিপনন, ল্যাবে বিজ্ঞান উপকরন বক্স, বিজ্ঞান ক্লাব, লেখাপড়া, খেলাধুলায় প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরস্কারসহ ভাল কাজে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।