বিরল প্রতিনিধি \অযতœ অবহেলা আর উদাসীনতার কারণে করুন দশায় দিনাজপুরের বিরলে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল)এর এক্সচেঞ্চ অফিস ভবনটি। সেবা ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এখান থেকে সল্প টাকায় ইন্টারনেট সেবা বা নতুন সংযোগের জন্য এডিএসএল নামে নতুন প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হলেও কেবল ভাল না হওয়ায় এই সুবিধাও কেউ পাচ্ছে না।
এই এক্সচেঞ্চ অফিসটির বিরল ৫০০লাইন ডিজিটাল এক্সচেঞ্চ নাম দেয়া হলেও আসলে সংযোগ দেয়া আছে মাত্র ৫২টি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব কিছুর সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও মানুষ বিরল ৫০০লাইন ডিজিটাল এক্সচেঞ্চ থেকে আশানুরুপ সেবা পাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকরা প্রায় সকলে সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যদিও ৫২টির মত টেলিফোনের সংযোগ দেয়া আছে সেগুলিরও ব্যবহার অতি নগন্য। একসময়ে সরগরম এই টিলিফোন এক্সচেঞ্চটি দেখতে গিয়ে ফুটে উঠে করুণদশা। প্রবেশ দ্বারের সামনে ভাঙ্গাচুড়া রাস্তাটিই প্রমাণ করে অবহেলার এক নিদারুণ চিত্র। এছাড়া টেলিফোন এক্সচেঞ্চের বিল্ডিংটিও হয়ে পড়েছে ঝুকিপূর্ণ। বিল্ডিংয়ের সামনে অনেক দিনের পুরাতন একটি সাইনবোর্ড ও গ্রিল গেটের সামনে ঝুলতে দেখা গেছে। এখানে একজন লাইনম্যান দায়িত্বে রয়েছে।
বিরলের সচেতন মনে করেন, বিরলের বিটিসিএল এর এক্সচেঞ্চ অফিস ভবনটি রক্ষার জন্য সরকারে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
দায়িত্বে নিয়জিত লাইনম্যান মাহবুবুর রহমান প্রিন্স জানান, বিরল বিটিসিএল এক্সচেঞ্চর মাধ্যমে ৫২টির মত সংযোগ দেয়া আছে। এর মধ্যে ৪৭টি সংযোগ চালু আছে। তবে সেগুলিও তেমন ব্যবহার হয়না। তিনি জানান, জনগণকে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার জন্য এডিএসএল নামের নতুন একটি প্রযুক্তি আমাদের সংযুক্ত হয়েছে। কেউ নতুন সংযোগ চাইলে অনলাইনে নির্দিষ্ট সাইটে আবেদন করতে হবে। অনুমতি পেলে সাথে সাথে ওই লাইনটি সংযোগ দিব।
নতুন এ প্রযুক্তি সংযোগ হবার পর বিরলের কতজন ইন্টারনেট সেবা নিচ্ছে এব্যাপারে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কাউকে সংযোগ দেয়া হয়নি। কারন কেবল যে অবস্থা। এতে গ্রাহকরাই বিরক্ত হবে। এখানে কেবলসহ আধুনিক সংযোগের ব্যবস্থা হলে সংযোগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।