বৃহস্পতিবার , ১৫ আগস্ট ২০২৪ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ‘ভাদর কাটানি’ উৎসব

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
আগস্ট ১৫, ২০২৪ ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ ক্যাল্ডেডারের তারিখ হিসেবে বাংলা সালের আজ ভাদ্র মাসের ১ তারিখ বৃহস্পতিবার। ভাদ্র মাসের শুরুতে বাঙালীদের ঐতিহ্যবাহী ‘ভাদর কাটানি’ উৎসব শুরু হয়েছে। নববধূরা পিতার বাড়ি নাইয়োরে যেতে শুরু করেছে। এখন গ্রামে গ্রামে চলছে ঐতিহ্যবাহী ‘ভাদর কাটানি’ উৎসব।দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে এ ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘ভাদর কাটানি’র লক্ষ্যে বাবার বাড়ীতে যায় নব-বিবাহিতা বধূরা। শহরে এর প্রভাব কম থাকলেও গ্রামে গ্রামে পালন করা হয় এ উৎসব। এ উৎসবের রীতি অনুযায়ী, কমপক্ষে ভাদ্র মাসের প্রথম দিন হতে দশ দিন পর্যন্ত স্বামীর মঙ্গল কামনায় কোনো নববধূ তার স্বামীর মুখ দর্শন করবেন না।ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ‘ভাদর কাটানির’ কোনো ব্যাখ্যা না থাকলেও এ অঞ্চলের আদি প্রথা অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের পহেলা তারিখ থেকে শুরু হয়ে যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে ‘ভাদর কাটানি’ উৎসব। ‘নব-বিবাহিতা বধূ বাবার বাড়িতে নাইয়র যাবে।’ এই বাক্যটি এখন নব-বিবাহিত পরিবারের সবার মুখে মুখে। জানা যায়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে এবং ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিনাজপুর মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের কোন কোন অংশে এই প্রথা চালু আছে। এছাড়াও জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি জেলার কোন কোন অংশ এই প্রথা বাঙ্গালী সমাজে চালু রয়েছে বলে জানা যায়। আধুনিক যুগে ভাদর কাটানির পক্ষে নিরপেক্ষ তর্ক-যুক্তি ন্ইা। তবুও ভাদর কাটানি উৎসব থেমে নেই। যারা মনে প্রাণে বাঙ্গালি যারা বাঙ্গালির রীতিনীতি ও প্রথা মেনে চলে মানার চেষ্টা করেন তাদের নিয়মের ভিতরেই রয়েছে ভাদর কাটানি প্রথা। স্থায়ীয় লোকজনের বিশ্বাসÑবিবাহিত জীবনের প্রথম ভাদ্র মাসের এক থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত স্বামীর মুখ দেখলে অমঙ্গল হবে। তা ছাড়া সাধারণত এ মাসে বিয়ের কোন আয়োজনও চোখে পড়ে না। প্রচলিত এ প্রথাটি যুগ যুগ ধরে এ অঞ্চলে হিন্দুু-মুসলিমদের মধ্যে চলে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী, কনেপক্ষ শ্রাবণ মাসের দু’-একদিন বাকি থাকতেই বরপক্ষের বাড়িতে সাধ্যমতো বিভিন্ন রকমের ফল, মিষ্টি, পায়েসসহ নানা রকম পিঠা-পুলি নিয়ে যায়। বরপক্ষও সাধ্যমতো তাদের আপ্যায়ন করে। বাড়িতে কনে পক্ষের লোকজন আসায় চারদিকে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা ডাবোর-ডহচী গ্রামের সুশীল চন্দ্র রায় গত আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন বউ বাসায় তুলেছেন এবং ভাদ্র মাসের ১ তারিখে নব-বিবাহিতা বধূ গেছে বাপের বাড়ীতে। বৌকে বিদায় দিতে কিংবা কনের বাড়ির লোকজন দলবেঁধে কন্যাকে নিতে আসে জামাইর বাড়ি থেকে। বাড়িতে নতুন অতিথিরা আসলে বাড়ির লোকজনরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রথমে হাত মুখ ধোঁয়ার ব্যবস্থা, গামছা তোয়ালের ব্যবস্থা তারপর খড়ম স্যান্ডেল ধুতি, লুঙ্গির ব্যবস্থা যেন পরিপূর্ণ করা হয়। তারপরে খাওয়ার জন্য ছাগল মুরগি, ডিম, দুধ, কলা, দই, চিড়া, মুড়ি, পায়েশ, পুলি, পিঠা, আয়োজনের মধ্যে সবই থাকে বাঙ্গালী সমাজে। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার প্রবীন সাংবাদিক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানায়, ভাদর কাটানি মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনো ধর্মীয় বিষয় না হলেও এ অঞ্চলে প্রথাটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এক সময় সভ্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায় এ উৎসবকে জাকজঁমকভাবে পালন করত। তাদের এ রেওয়াজ ক্রমান্বয়ে এ অঞ্চলের মানুুষকে প্রভাবিত করে। এক পর্যায়ে উৎসবটি এ অঞ্চলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিনাজপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে বিনামূল্যে ঠোঁট কাঁটা ও তালু কাঁটা অপারেশন ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

কাহারোলে কান্তজীউ বিগ্রহ নৌবিহারে রাজবাটীর উদ্দেশ্যে যাত্রা

ট্রেনে কাটা পরে বৃদ্ধের মৃত্যু

ভারত ভ্রমন শেষে লাশ হয়ে বাড়ী ফিরলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ও হুইপ ইকবালুর রহিম প্রদত্ত দিনাজপুরে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন

কাহারোলে বিএনপি‘র দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে

ভালো ফলাফল করায় শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করালেন কলেজ কর্তৃপক্ষ

মান সম্পন্ন ও আন্তজার্তিক মানের গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে —ভাইস চ্যান্সেলর, হাবিপ্রবি

ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়মিত আদালত খুলে দেওয়ার দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান

রাণীশংকৈলে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন