“মধুর রূপে বিরাজ হে বিশ^রাজ” কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইনকে সামনে রেখে এবং ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ দিনাজপুরের আয়োজনে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী নাট্য প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর নাট্য সমিতির মঞ্চে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাঙালীর প্রাণের কবি বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়েছে।
জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ দিনাজপুরের সভাপতি মানস ভট্টাচার্য্যে সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুমন কান্তি রায়। “রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি চিন্তা” -শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচনা করেন আদর্শ কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কবি রুবি আফরোজ, প্রভাষক, কবি ও গবেষক বিধান দত্ত, নাট্য নির্দেশক সম্বিত সাহা সেতু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নবরূপীর সভাপতি আব্দুস সামাদ, কবি ও সাহিত্যিক জলিল আহম্মেদ ও কবি সাব্বির রেজা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কবি ও গবেষক ড. মাসুদুল হক, রেজাউর রহমান রেজু, রবিউল আউয়াল খোকা, কবি মাসুদ মুস্তাফিজ, কানিজ রহমান, কবি নিরঞ্জন রায়, কবি দেবরঞ্জন ভট্টাচার্য্য ও মোঃ আতিকুর রহমান নিউ। সংগীত পরিচালনা করেন স্বপ্না দাস, প্রিয়াংকা দাস চৈত্রী, সুমন কান্তি রায়, শ^াশতি দেব নাথ খেয়া, নুরুল মতিন সৈকত। কবিতা আবৃত্তি করেন অদিতি রায়, হেম কুসুম ও সুর্বণা মুখার্জী। নৃত্য পরিবেশন করেন ত্রয়ী, পিয়ু ও পিপাসা। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সুবর্ণা মুখার্জী। বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একধারে একজন বিশ^ মানব, দার্শনিক, কবি ও শিক্ষাবীদ। তার শিক্ষাদর্শন সারা বিশ^ মানবতাকে প্রভাবিত করেছে। তিনি লিখেছেন আমরা যদি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের প্রজন্ম কীভাবে এই পৃথিবীতে বসবাস করবে। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একজন প্রকৃতি প্রেমিক কবি। তাকে আমরা লালন ও ধারণ করে যাবো।