দিনাজপুরের বিরল মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছান আলী ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হলেও আজও বঞ্চিত রয়েছেন।
দিনাজপুরের বিরল মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ে গভনিং বডি কতৃক বিশ^বিদ্যালয়ের নিয়ম ও বিধি লঙ্ঘন এর অভিযোগ করেছেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছান আলী।
অভিযোগ রয়েছে ২০১২সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। অধ্যক্ষ পদে দরখাস্ত করার কারনে উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছান আলী তার পদ থেকে পদত্যাগ করে সেলিমা আফরোজকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব দেন।যথারীতি নির্বাচনী পরীক্ষায় মোহাম্মদ হাছান আলী প্রথম হলে নির্বাচনী বোর্ড অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের সুপারিশ করে। কিন্তু গর্ভনিং বডির সভাপতি বিশ^বিদ্যালয়ের নিয়ম ও বিধি লঙ্ঘন তার ক্ষমতা অপব্যাবহার করে সুব্রত কুমার অধিকারীকে নিয়োগের সিদ্বান্ত দেয়। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে সেলিমা আফরোজকে বহিস্কার করে হাফিজা খাতুনকে কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব দেয়া হয়। উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছান আলীকে বেআনীভাবে সাময়িক বরখাস্ত করে। এ নিয়োগ বেআইনী দাবী করে সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছান আলী আদালতের শরনাপন্ন হন। ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর আদালত আদেশ প্রদান করেন মুল মোকদ্দমা নিষ্পতি না হওয়া পর্যন্ত হাফিজা খাতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে গর্ভনিং বডি প্রভাষক সুব্রত কুমার অধিকারীকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে তার নিয়োগ বাতিলের চিঠি দেন শিক্ষা অধিদপ্তর। তারপরেও বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন সুব্রত কুমার অধিকারী।