শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম)’র মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মো. জুলফিকার হায়দার বলেছেন, সহপাঠীদের দ্বারা সাইবার বুলিং এর শিকার হয়ে শিক্ষার্থীরা যেমন স্কুল-কলেজে যেতে চায় না ঠিক তেমনিভাবে প্রাপ্ত বয়স্করাও যদি কর্মস্থলে তাদের সহকর্মীদের দ্বারা বুলিং এর শিকার হন তাদেরও কাজের প্রতি অনীহা চলে আসে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশু ও নারীরা বুলিংয়ের শিকার হয়ে থাকেন। ফলে ভুক্তভোগীদের পাশাপাশি অভিভাবক ও কাছের মানুষেরা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। বুলিং প্রতিরোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট-২০২৫) দিনাজপুর হলিল্যান্ড কলেজের অ্যান্টিবুলিং ক্লাব এর আয়োজনে নির্যাতন-বিরোধী শিক্ষার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম)’র মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মো. জুলফিকার হায়দার এ কথা বলেন।
দিনাজপুর হলি ল্যান্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা: হবিবুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা মন্ত্রালয়ের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম)’র উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রওশন আলম, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম)’র টিচার ট্রেইনার শাহ্ মো. আব্দুল মাবুদ, হলি ল্যান্ড কলেজের সভাপতি প্রফেসর মহা: আব্দুর রউফ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হলি ল্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ইকবাল কবির মোগল। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মুনতাহা এঞ্জেল। অনুষ্ঠানে দিনাজপুর হলিল্যান্ড কলেজের কার্যক্রম প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন হলি ল্যান্ড কলেজের অ্যান্টিবুলিং ক্লাবের সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াহাব তুহিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অ্যান্টিবুলিং ক্লাবের সদস্য ফয়সাল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।