শুক্রবার , ২৭ আগস্ট ২০২১ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈলে পাট চাষিদের মুখে হাসি-সোনালি আঁেশ সোনালি স্বপ্ন পূরণ!

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
আগস্ট ২৭, ২০২১ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)জিয়াউর রহমান ঃ পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। পাটের উৎপাদন ভান্ডারখ্যাত ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ পাটের আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া পাট চাষের অনুক‚লে থাকায় এবং আগাম বন্যা না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। পাটের এমন বাম্পার ফলনে ও দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা বলছেন পাট চাষে তাদের সুদিন ফিরে এসেছে। পাট চাষে তারা ভবিষ্যতে সোনালি স্বপ্ন দেখছেন বলে জানায় চাষীরা। এবছর আবহাওয়াতে বৃষ্টিপাত ভালো হওয়ায় কৃষকদের পাট পঁচানো ও আঁশ ছড়াতে সমস্যা হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই আবাদকৃত ৮০ভাগ জমির পাট কাটা শেষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর স‚ত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হলেও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। হিসাবের বাইরে এবার লক্ষমাত্রার চেয়েও ও ১০০ হেক্টরের বেশি জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে। উন্নতমানের বীজ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ এবং সেচ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা বহু কষ্টে ফলানো পাট ক্ষেত থেকে কেটে রেখে দিচ্ছেন জমিতে। এরপর সেগুলোর পাতা ঝরিয়ে খাল, বিল, ডোবায় কিংবা নদীতে পঁচানোর পর আশ ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকাচ্ছেন। দু-একদিনের রোদেই পাট শুকিয়ে সংরক্ষণ বা বিক্রির উপযোগী করে তুলছে। তবে বদ্ধ জলাশয়ের তুলনায় প্রবাহমান জলাশয়ের পানিতে পাট পঁচালে পাটের মান ও রং ভালো হয়। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে-জমি তৈরি থেকে শুরু করে পাট শুকানো পর্যন্ত এক বিঘা জমি চাষ করতে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। চলতি বছর এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১৩ মন পাট হচ্ছে। সাথে পাটকাঠি বিক্রি করেও টাকা পাচ্ছেন কৃষকরা। কিসমত শিংপাড়ার মোজাম্মেল হক বলেন, আমি ও কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে ক্ষেত থেকে পাট কেটে ১৫ দিন পানিতে পঁচানোর পর এখন পরিষ্কার করছি। এরপর রোদে শুকিয়ে বিক্রি করা হবে। নদীর পানিতে পঁচানো ও পরিষ্কার করার কারনে আমার পাটের মানটা বেশ ভালো হয়েছে। উপজেলার ঝুলঝাড়ি চেংমারী গ্রামের কৃষক আনেলপাল বলেন, ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০থেকে ১২ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। সার, বীজ, নিড়ানি ও পাট কাটা, জাগ দেওয়ার জন্য কামলা, জাগ দেওয়ার পরিবহন খরচ বাবদ প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ২হাজার ৮থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। মৌসুম শেষ পর্যন্ত দাম এভাবে থাকলে কৃষকরা প্রচুর লাভবান হবে এবং পাট চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।

নেকমরদ বাজারের পাট ব্যবসায়ী ফয়জুলইসলাম জানান, বাজারে প্রতি মন পাট বিক্রি হয়েছে ভালো-মন্দ প্রকার ভেদে ২ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক থেকে শুরু করে ব্যাসয়ীরাও। তবে লকডাউন আর না আসলে সামনের দিনগুলোতে দেশের বড় বড় মোকামের ব্যাপারী এলাকার বাজারে আসলে পাটের দাম আরো বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় পাট ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, উপজেলায় পাট উৎপাদনে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।পাট দিয়ে পলি ব্যাগের আদলে দেশে ব্যাগ বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। এবার পাটের দামও ভালো। পাটের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগামীতে আরও বেশি পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন,পাটের মান ভালো রাখার জন্য প্রবাহমান এবং পরিষ্কার পানিতে পঁচানোর জন্য কৃষকদের বলা হচ্ছে। সাথে সাথে সেখানে কয়েক কেজি ইউরিয়া সারও ছিটিয়ে দিতে হবে। পঁচানোর ক্ষেত্রে গাছের পাতা বা কাদা মাটি এড়িয়ে চলায় ভালো।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলোবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন

আটোয়ারীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন

স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে —-হুইপ ইকবালুর রহিম

হরিপুরে নিজ দখলীয় জমিতে চাষাবাদে বাধা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে অসহায় পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

লঞ্চে আগুন: যেভাবে স্ত্রীসহ প্রা‌ণে বাঁচ‌লেন ইউএনও

বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের উদ্যোগে দিনাজপুরে বেল্ট প্রদান

জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার(ভূমি) সম্মাননা পেলেন তরিকুল ইসলাম

দিনাজপুরে অবিচল সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত জননেতা এম আব্দুর রহিমের জন্মবার্ষিকী পালিত

সেরা ল্যাপটপ ব্র্যান্ডের খেতাব জিতল আসুস

বীরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতার মতবিনিময়