বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। গত দুই বছরে করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে অনেকাংশ। তেল -চিনির পাশাপাশি প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। থেমে নেই কাঁচা তরিতরকারি দাম। বর্তমানে আলুর কেজি ৩৫/৪০ টাকা কিনতে অতি দরিদ্র মানুষদের নাকে দম উঠে গেছে । ঠিক এই পরিস্থিতিতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ফুল কপি, বাঁধা কপি, বেগুন, শিম, লাউ,টমেটোসহ নানা সবজি আকার ভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি করলেও দশ টাকা কেজি দরে কাঁটা আলু বিক্রি করছে দোকানীরা। দশ টাকা কেজিতে আলু কিনতে পেরে অনেকেই খুশি। পৌরশহরের বলাকা মোড়সহ বিভিন্ন হাটবাজারে নতুন আলু না উঠলেও,সেই তুলানায় পুরোনো বীজ হিসেবে কাটা আলুর দাম ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । দাম কম থাকায় গরীব খেটে খাওয়া মানুষের কাছে প্রিয় সবজির নাম কাটা আলু। গ্রাহক রিক্সাচালক কুদ্দুস, মন্তাজ, খেটে খাওয়া দিনমজুর সহ অনেককেই এই আলু কিনতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ভাই আমি গরীব মানুষ, আয় অনেক কম, সবকিছুর দাম অনেক বেশী, তাই ১০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পেরে আমাদের অনেক উপকার হচ্ছে। আলুর দোকানদার রুবেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সরাসরি কৃষক বীজের জন্য যেই আলু ব্যবহার করে, তার অব্যবহৃত কাটা আলু স্বল্প মূল্যে কিনে দোকানদারের কাছে বিক্রি করেন এতে কৃষক,দোকানদার, গরীব মানুষ সবাই উপকৃত হয়।
বীরগঞ্জে হাটে বাজারে সর্বত্রই এখন এই আলু পাওয়া যাচ্ছে।