বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি\ শুক্রবার (২ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পঞ্চগড় জেলা শাখার সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রথম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধ চলকালীন ৬/ক সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা, জাতীয় সংসদের চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজনের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এর ২৬ তম মুত্যু বার্ষিকী।
অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চল্লিশ দশকে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের মহাজনপাড়ায় এক মুসলিম সম্ভান্তঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সময়ে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ৬৬ ছয় দফা এবং সর্বোপরি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং একাধারে রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং ডাকসুর সহ-সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন ছিলেন। ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে পঞ্চগড় থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৬নং সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে তেঁতুলিয়াকে মুক্তাঞ্চলের তীর্থভূমি হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করান। বঙ্গবন্ধুর ২য় বিপ্লব কর্মসূচীর ডাকে সাড়া দিয়ে বাকশালের ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হন। এ ছাড়াও তিনি একাধিকবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে ২রা জুন মৃত্যুকালীন পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানিয়ে তাঁরে নামে পঞ্চগড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেল স্টেশন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম, সাবেক পুঠিমারী ছিটমহলের নাম পরিবর্তন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম নগর ও নবাবগঞ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে।
বোদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবি জানান, মুত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় ভাবে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও পারিবারিক ভাবে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।