বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ছোট বড় নদী ও ডারা খনন করার ফলে এর সুফল পাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। তাদের উঠোন ভর্তি ধান আর চোখে মুখে কৃষি বিপ্লবের হাসি। কৃষকের এই হাসি নৌ মন্ত্রানালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সুদীর্ঘ পরিকল্পনায় নদী খননের ফসল।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নৌ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করার পর থেকে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন ব্যবস্থার চিত্রে অমুল পরিবর্তন এসেছে। তেমনি দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার খাল বিল, নদী নালা খনন ও সার্বিক তত্বাবধানের মাধ্যমে কৃষকের পানি ব্যবস্থার চাহিদা পুরনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে। বিআইডাবিøউটিএর তত্বাবধানে গত কয়েক বছরে বোচাগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তুলাই নদী ৬৮ কিলোমিটার, হলুদিয়া ১১ কিলোমিটার, রাক্ষুসী ১৬ কিলোমিটার, বগুলাখাড়ী ৯ কিলোমিটার, বাজনীয়া বিল ২ কিলোমিটার, চৈতু ডারা দেড় কিলোমিটার, সোনাইখাড়ী ৫ কিলোমিটার, বড়–য়াখাড়ী ২ কিলোমিটার প্রায় একশত চৌদ্দ কিলোমিটার নদী ও ডারা খনন করা হয়েছে। এই নদী ও ডারা খননের ফলে ইরিবোরো মৌসুমে কৃষকরা সেচের জন্য নদী ও ডারার পানি ব্যবহার করে কৃষিকাজে উপকৃত হয়েছেন। অপরদিকে আমন মৌসুমে অতিবৃষ্টির ফলে নিচু জমিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হত। উঠতি ফসলি জমিতে পানি জমে থাকার ফলে ধানের গাছে পচন দেখা যেত কিন্তুু নদী ও ডারা গুলো খনন করার মাধ্যমে কৃষকের দুঃশ্চিন্তার অবসান হলো। নদী খননের ফলে পাল্টে গেছে বোচাগঞ্জ উপজেলার কৃষি কাজের ধরন।
গত কয়েক দিনের টানা অবিরাম বর্ষনের ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে আমন ধানের জমি সহ অন্যান্য ফসলের জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা গেলেও সেই জলাবদ্ধতা বেশিক্ষন স্থায়ী হয়নি। কারন হিসেবে জানা গেছে উপজেলার বেশ কয়েকটি ছোট বড় নদী খননের কারনে জলাবদ্ধতার পানি দ্রæত নেমে যাচ্ছে নদীতে। যার ফলে অবিরাম বৃষ্টি হলেও ফসলী জমির পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। যা কৃষকদের মাঝে সুফল বয়ে আনছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা আটগাঁও গ্রামের তুলাই নদী খনন হওয়ার পর ঐ এলাকার জলাবদ্ধতা আর নেই। আটগাঁও গ্রামের কৃষক সফিকুল জানান, তুলাই নদী সংলগ্ন এলাকায় তার বেশ কিছু আবাদি জমি আছে বর্তমানে সেই জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষনে পানিতে জমির ধান গাছ ডুবে যায়। কিন্তুু কিছুক্ষন পর দেখেন যে, জমিতে জমে থাকা পানি নদীতে নেমে গেছে। জমিতে পানি জমে থাকলে উঠতি ধানের ক্ষতি হত কিন্তুু জমির পানি দ্রæত নেমে যাওয়ায় কৃষকের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যা নদী খননের কারনেই সম্ভব হয়েছে। ৫নং ছাতইল ইউনিয়নের মাহেরপুর বগুলাখাড়ী বিলের কৃষক লুৎফর রহমান জানান নদী ও ডারা গুলো খননের পর থেকে তারা উপকৃত হয়েছেন। চাষাবাদে বাড়তি সেচ দিতে হয়না। ফলন হচ্ছে বেশি। এমনই চিত্র গোটা উপজেলায়।