পঞ্চগড়ে জেলা আ.লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন
রেলমন্ত্রী সুজন ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতায় আমাকে
সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি\পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড়-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত স¤্রাট অভিযোগ করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতায় আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রীক, মনগড়া ও স্বেচ্ছচারীতা। কেন্দ্রীয় কোন নেতা তার এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন। সারাদেশের কোথাও এমন নজীর নাই। আমাদের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় প্রার্থীর বাইরে যে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন। বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল সভাতেও তিনি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহিত করেছেন। সেখানে রেলমন্ত্রী সুজন কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত দেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিচালিত হয় নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে তিনি এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়ায় দলের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। আমি তার এই সিদ্ধান্ত মানি না। তিনি গতকাল শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কোন কারণে অসুস্থ বা দেশের বাইরে গেলে আমি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে কাউকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করব। সেখানে দলের সভাপতি আমাকে না জানিয়ে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। গঠনতন্ত্রের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কেবলমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার। তার যে কোন সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নেব। এর বাইরে আমি কারো গঠনতন্ত্রের বাইরে কোন স্বেচ্ছচারি সিদ্ধান্ত মানি না। তার এই সিদ্ধান্তের ফলে গোটা জেলায় নেতাকর্মীদের মাঝে বিচ্ছৃংখলা দেখা দিয়েছে। হতাশা বিরাজ করছে। আমি তার এ ধরণের অগঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের জন্য নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আছি, থাকব। আমি আমাদের নেত্রী, সাংগঠনিক নেত্রী, দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে কোন মুহুর্তে যে কোন সিদ্ধান্ত দিলে তাৎক্ষনিভাবে আমি সেটা মানতে বাধ্য। এর বাইরে এমন সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা জেলার কারোর নেই।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ পারভেজ হিটলার, প্রচার সম্পাদক রবিউল ইসলাম চানু, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক সপিয়ার রহমান, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।