অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)“অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত এবং জিআরএস সফটওয়্যার” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উক্ত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন হলের হল সুপার,সহকারী হল সুপার,সহকারী প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালকবৃন্দের অংশগ্রহণে উক্ত কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়। এ
তে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ও হাবিপ্রবির অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মো. মাহাবুব হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশিদ। রিসোর্স পার্সন হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ইউজিসি’র উপ-পরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির ফোকাল পয়েন্ট জনাব মৌলি আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডীন ও হাবিপ্রবির অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম। সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শেখ মো: সহিদ উজ জামান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে ৪৬৮২ দিন তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন, পরিবারকে বঞ্চিত করেছেন। শুধুমাত্র একটি লক্ষ্য ছিল, সেটি হলো পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা এবং অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সে লক্ষ্য তিনি অর্জন করেছেন। এই স্বাধীনতা অর্জন করেই তিঁনি ক্ষান্ত হননি। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে ও মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আত্মনিয়োগ করেন। এই সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যোগ্য উত্তরস‚রি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরই তিনি আমাদেরকে শুদ্ধাচারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তখন থেকেই প্রশাসনের সর্বস্তরে শুদ্ধাচারের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতা থেকে আমরাও শুদ্ধাচারের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমরাও চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন নিশ্চিত হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণম‚লক একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, অভিযোগ করা কোন নেগেটিভ বিষয় নয়, এটি আমাদের অধিকার। আমাদের এখানে সিটিজেন চার্টার রয়েছে, এখানে নাগরিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও অভ্যন্তরীণ সেবা নামে তিন ধরণের সেবার উল্লেখ রয়েছে। এই তিনটি সেবা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কমিটমেন্ট। এই কমিটমেন্ট রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে অবশ্যই অভিযোগ আসতে পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সকলের, তাই আমাদের সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এটিকে এগিয়ে নিতে হবে। পরিশেষে তিনি এ ধরণের কর্মশালা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।