কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ কাহারোলে খাকী ক্যাম্পবেল ও জিনডিং হাঁস পালন করে বেকার যুবক বাবুল ইসলাম তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। তিনি এখন নিজেকে স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলেছে। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার তারগাঁও ইউনিয়নের পানিগাঁও গ্রামের বেকার যুবক বাবুল ইসলামের হাঁসের খামার রয়েছে। হাঁস খামারী বাবুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে জানান, আজ থেকে প্রায় ১০/১২ বছর আগে ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলায় একটি খামারে শ্রমিকের কাজ করেছি। সেখান থেকে হাঁস পালনের স্বপ্ন বাসা বাঁধে আমার হৃদয়ে। তার এই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রুপ নিয়েছে কাহারোলের মাটিতে। সে প্রায় ৯ বছর আগে পাশ^বর্তী উপজেলার বোচাগঞ্জ থেকে ৩২ টাকা দরে ৫০টি হাঁসের বাঁচ্চা ক্রয় করে ছোট্ট একটি খামার হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহন করি। তার এই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে খামারে ৬শতাধিক এর অধিক হাঁস রয়েছে। সে আরো জানায়, বর্তমানে প্রতিটি হাঁসের বাজার মূল্যে ৪শত থেকে ৪শত ৫০ টাকা প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে। আমি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে ক্রমে হাঁসের খামার বড় আকারে গড়ে তোলার চেষ্ঠা করে আসছি। আমার বর্তমানে ৫ লক্ষ টাকার অধিক মূলধন রয়েছে। হাঁস পালনের ক্ষেত্রে আমি সর্বক্ষণ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রেখে হাঁসের সকল প্রকার ঔষধ ও চিকিৎসা গ্রহণ করি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর আমাকে হাঁসের চিকিৎসা সেবা ও অন্যান্য পরামর্শ দিয়ে আসছে। তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। অন্যদিকে খামারি বাবুল ইসলামের এসব সফলতা দেখে আজ অনেক বেকার যুবক ও যুব মহিলারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে নিজেরাই হাঁসের খামার গড়ে তুলছে। এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু সরফরাজ হোসেন জানান, দিনাজপুরের অবহেলিত এই কাহারোল উপজেলাকে হাঁস পালনের ক্ষেত্রে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে আমরা সার্বক্ষনিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী বছর হতে কাহারোল উপজেলা থেকে দিনাজপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাঁসের বাঁচ্চা সরবরাহ সর্বাত্তক চেষ্টা চালিয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তাই সকলকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। তিনি খামারিদের নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠকের আয়োজন করছেন এবং খামারিদের টিকাকরণ এর ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন।