শনিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে শরতের রঙে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাঝে

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ ১০:৪৬ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)প্রতিনিধি: শরতের রঙে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পথের ধারে ও মাঠে-ঘাটে শোভা পাচ্ছে কাশফুল।
শরতের আগমনের বার্তা নিয়ে সাদা কাশফুলে প্রকৃতি সেজেছে তার আপন রূপে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে সৌন্দর্য ও প্রশান্তির প্রতীক কাশফুল। ছয় ঋতুর এই দেশে প্রত্যেক ঋতুর রয়েছে আলাদা রূপ ও বৈচিত্র্য। সেটি বহন করে এবারও শরৎ এসেছে।

শরৎকাল বাংলা বর্ষপঞ্জির ভাদ্র ও আশ্বিন মাসব্যাপী কালপর্ব যা বর্ষার পরবর্তী এবং হেমন্তের পূর্ববতী তৃতীয় ঋতু। এ ঋতুকে বাংলার কবি সাহিত্যিক ও সুধীজন ঋতুর রানি বলে অভিহিত করেন। বর্ষার ক্রমাগত বর্ষণ শেষে আগমন ঘটে শরতের। শরতের রূপবৈচিত্র্য উপমাহীন। শ্রাবণ শেষে বিরামহীন বাদলের সমাপ্তি ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সজ্জিত হয়। এসময় আকাশবুকে ভেসে চলে শুভ্র মেঘ। সূর্যের কিরণ হয় দীপ্তোজ্জ্বল আর বাতাস হয় অমলিন। শরৎকে ইংরেজিতে “অটাম” বলা হলেও উত্তর আমেরিকায় একে “ফল” হিসেবে ডাকা হয়। পৃথিবীর ৪টি প্রধান ঋতুর একটি হচ্ছে শরৎকাল। উত্তর গোলার্ধে সেপ্টেম্বর মাসে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মার্চ মাসে শরৎকাল গ্রীষ্মকাল ও শীতকালের মধ্যবর্তী ঋতু হিসেবে আগমন করে।
বাঙালির সামনে শরতের অপার সৌন্দর্য উপস্থাপন করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বলেছেন, ‘শরৎ তোমার অরুণ

আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি।’। শরৎ
যে এত অনিন্দ্য-সুন্দর, প্রতিটি বাঙালি তা অনুভব করে মর্মে।
ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বিশ্বের সকল দেশে ছয়টি ঋতুর আগমন কখনই ঘটে না। বাংলাদেশে প্রতি ঋতুরই রয়েছে আলাদা আলাদা পরিচয়। আর ঋতুর পার্থক্য ফুটে ওঠে ফুলে। শরতে সাদা কাশফুল আর শিউলির আধিপত্য ছাড়াও ফোটে আরও অনেক সহচরী ফুল।

তীব্র গরম আর কাঠফাটা রোদে ময়ূরের মতো কাশফুলের পালকের অপরূপ সৌন্দর্য মন জুড়ায় সব বয়সী মানুষের।
উপজেলার পথের ধারে, গ্রাম-গঞ্জের জমির আইলে, পুকুরপারে, নদীর ধারে, মাঠে-ঘাটে শোভা পাচ্ছে কাশফুল। মূলত ছন গোত্রীয় এই ঘাস কমবেশি দেশের সব অঞ্চলেই দেখা যায়। কাশফুল পালকের মতো নরম এবং রং ধবধবে সাদা।

গাছটির চিরল পাতা খুব ধারালো, খসখসে। গ্রাম্য এলাকায় জ্বালানি, ঝাড়ু এবং ঘর ও পানের বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আয়ুর্বেদিক চিকিত্সকের মতে, কাশফুলের বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। যেমন : পিত্তথলির পাথর নির্মূলে এবং ব্যথানাশক ফোড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

একসময় বীরগঞ্জ উপজেলার নদীর ধারে কিংবা খালবিলসহ প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে দেখা যেত কাশফুল। কালের বিবর্তনে এর পরিমাণ অনেক কমে গেছে। উপজেলার শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম, পাল্টাপুর, সুজালপুর,নিজপাড়া,মোহাম্মদপুর,ভোগনগর, সাতোর, মোহনপুর, মরিচাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এখনো দেখা মেলে নান্দনিক সৌন্দর্যের কাশফুল। কাশফুলের গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম হয়। বেড়ে ওঠার সময় চোখে না পড়লেও ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।
উপজেলার ঢেপা নদীর তীরে কাশবাগানে ঘুরতে আসা তামিম আহমেদ বলেন, ‘কাশফুল আমার খুব ভালো লাগে। তাই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। কিছু কাশফুল তুলে মায়ের জন্য নিয়ে যাব। মা দেখলে খুব খুশি হবেন।’

বীরগঞ্জ উপজেলার জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘কাশফুলের সৌন্দর্যে মানুষের মনে প্রশান্তি আসে। আগে অনেক দেখা যেত। বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এই গাছ। এর সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।’

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

অর্থনীতির চাকা সচলে ঐক‌্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রহস্যে ঘেরা সেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে এবার ২০ যাত্রীসহ জাহাজ নিখোঁজ!

পীরগঞ্জে ১০ হাজার পিচ ইয়াবা সহ দুই কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আটক

বোচাগঞ্জে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শিশুকন্যা হত্যা

দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত

ভানোর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুলের হাটসভায় জনসমুদ্রে পরিণত

রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

রাণীশংকৈলে শিশুশ্রম সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার ও সচেতন মূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পীরগঞ্জে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন বিষয়ে অবহিত করণ সভা

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সাঁওতালদের পুষনা উৎসব