হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহনে ‘উল্টো রথযাত্রা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শ্রীশ্রী শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই শ্রীমদ্ভাগবত কথামৃত পরিবেশনা, কীর্ত্তন ও ধর্মীয় আলোচনায় মুখরীত ছিল মন্দির প্রাঙ্গন। আয়োজনে ছিলো আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন)।
এরআগে ২৭জুন শ্রীশ্রী শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রার মুল অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল সংকীর্তন সহযোগে রাজপথে বর্ণাঢ্য র্যালীর মধ্য দিয়ে। এর ঠিক নবম দিনে মন্দিরের সেবক, বক্ষচারী ও ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহনে বর্ণাঢ্য “উল্টো রথযাত্রা” সম্পন্ন হয়।
প্রতিবছর রথযাত্রার শুভ আরম্ভ হয় আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, এর ঠিক নয়দিন পর অনুষ্ঠিত হয় “উল্টো রথ”। এই দিনে, জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা তাদের মাসির বাড়ি থেকে পুনরায় মূল মন্দিরে ফিরে আসেন। এই প্রত্যাবর্তন যাত্রা “উল্টো রথ” নামে পরিচিত। এই দিনে কিছু বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান ও নিয়ম পালন করা হয়। এটি আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান সনাতনীদের উৎসব। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ইসকনের রথ ও ধামরাই জগন্নাথ রথ বিশেষ প্রসিদ্ধ।
শনিবার দিনাজপুর গুঞ্জাবাড়ীতে শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য “উল্টো রথযাত্রা” পালিত হয়।
এই উৎসব প্রসঙ্গে শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি বিক্রমী রাম দাস বলেন, ভাতৃত্বের মিলন মেলায় ভক্তবৃন্দের আগমন। এ দেশের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কল্যাণের জন্য ভগবান জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার আয়োজন। আমরা প্রথম রথযাত্রা থেকে শুরু করে আজ “উল্টো রথযাত্রার” মধ্য দিয়ে আবারও দেশের মানুষের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।