দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র্যাগিং এর অভিযোগে চার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবং আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
বহিস্কারের খবরটি বৃহস্পতিবার বিকালে জানাজানি হলে রাত ৯টায় এই বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি জানায় বিক্ষুব্ধ কিছু শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই দফা আলোচনার পর রাত পৌনে ১২টায় অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ।
হাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ জানায়,গত ১১ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.এম ওয়াজেদ মিয়া ভবনে অর্থনীতি বিভাগের নবাগত ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র্যাগ দেয় একই বিভাগের ২২ ব্যাচের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ২৩ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১এর মূল কমিটির ৪র্থসভায় র্যাগিং এর ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর ০৬ ধারা অনুযায়ী মূল কমিটি শাস্তির সুপারিশ করে।একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম.কামরুজ্জামানের অনুমোদনক্রমে অর্থনীতি বিভাগের তৌহিদুল ইসলাম তুরাগ ও সজীব হোসেনকে ২ সেমিস্টার এবং রোকনুজ্জামান চৌধুরী ও অনুপম রায়কে ১ সেমিস্টার করে বহিষ্কার করে প্রশাসন। তারা সবাই ২২ব্যাচের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একইসাথে ঐ বিভাগের এফ. এন শাবিন, শাহীন আলম, জাহিদ হাসান, শাকির মাহমুদ ও ইয়াসির রহমান শাকিলকে কঠোরভাবে সতর্ক করে প্রশাসন।
তিনি আরও জানান, র্যাগিং কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা র্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্থ হোক এটা কখনোই কাম্য নয়। র্যাগিং থেকে বিরত থাকতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানাচ্ছি।