বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা ভূমিহীন পরিষদের আয়োজনে ভূমি অধিকার ও কৃষিভূমি সংস্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল- ২০২৪) বিকেল ৩টায় কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে উপজেলা ভূমিহীন সমন্বয় পরিষদের আয়োজন এবং সিডিএ’র সহযোগিতায়
সুজালপুর ইউনিটের জনসংগঠনের সভাপ্রধান বিনয় চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিকাশ ঘোষ, সহ-সভাপতি নিতাই সাহা লেলিন ও স্থানীয় সাংবাদিক মো. তোফাজ্জল হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিডিএ’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সন্তোষ রায়, গ্রাম সহায়ক মো: আমিনুল ইসলাম, জনসংগঠন ইউনিট ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদের সভাপ্রধান নরেন্দ্র দাস, সুজালপুর ইউনিটের সহ-সভাপ্রধান আল মাহমুদ, পাল্টাপুর ইউনিটের আদিবাসী জনসংগঠের সভাপ্রধান নরেশ হেমরম। ভূমিহীনরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বীরগঞ্জ উপজেলায় ৯০টি ভূমিহীন জনসংগঠন নিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যই ভূমিহীন। সরকারের পক্ষ থেকে ভূমিহীন বীরগঞ্জ উপজেলায় নেই বলা হলেও বাস্তবে এখনো অনেক ভূমিহীন রয়েছে, যাদের ঘরবাড়ি নেই। নতুন করে আবেদন নিয়ে সরকারি খাস জায়গায় আমাদের মত ভূমিহীনদের ঘর বন্দোবস্ত করার দাবি জানান। মতবিনিময়ে ভূমিহীন জনসংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, সরকারের অনেক খাস আবাদি জমি রয়েছে যা বিভিন্ন নামে-বেনামে ও অবৈধ দখলে রয়েছে। যা ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দিলে দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে ভূমিহীনরা বড় ভূমিকা রাখবে। এসময় গ্রাম সহায়ক রফিকুল ইসলাম, পয়গাম আলী, মোছা:শেফালী আক্তার, জনসংঠন ঐক্য পরিষদের সদস্য শান্তি রানী রায়, সিডিএ প্রধান কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক মো: রুহুল আমিন সহ ৯০টি ভূমিহীন জনসংগঠনের মধ্যে ৫০টি ভূমিহীন জন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, শিবরামপুর ইউনিয়নে মুরারীপুর মৌজার ১ একর, শতগ্রাম ইউনিয়নের গড়ফুতু মৌজার ১৯ একর, পাল্টাপুর ইউনিয়নের ভোগডোমা মৌজার ৪.৩০ একর, সুজালপুর ইউনিয়নের চাকাই মৌজার ৫.১৬ একর, নিজপাড়া ইউনিয়নের সম্ভব শম্ভুগাও মৌজার ৩.১৫ একর বলরামপুর মৌজার ৮৪ শতক, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর মৌজার সোনাবড় দিঘির পুকুরপাড়, ভোগনগর ইউনিয়নের ডালাগ্রাম মৌজার ১ একর, সাতোর ইউনিয়নের সাতোর মৌজার ৩.৫০ একর, মোহনপুর ইউনিয়নের কুতুলপুর ও বড়হাট মৌজা এবং মরিচা ইউনিয়নের মাহাতাবপুর ও খামার খড়িকাদাম মৌজার খাসজমি অবশিষ্ট ভূমিহীনদের দখলে আছে, যা ভূমিহীনরা বন্দোবস্ত পাচ্ছে না। তাই ভূমিহীনরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।