Thursday , 23 December 2021 | [bangla_date]

মার্চ না আসা পর্যন্ত বলতে পারব না যে আমরা নিরাপদ: শিক্ষামন্ত্রী

নতুন শিক্ষাবর্ষে পুরোদমে ক্লাস শুরু করতে আগামী মার্চ পর্যন্ত ‘পর্যবেক্ষণ’ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন নিয়ে শেষ কথা বলার সময় আসিনি। আমেরিকা, ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকভাবে। আমাদের আরও দেখার দরকার। কাজেই মার্চ না আসা পর্যন্ত বলতে পারব না যে আমরা নিরাপদ অবস্থানে আছি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাতুয়াইলের মৌসুমি প্রেসে নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অগ্রগতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।

দীপু মনি বলন, এ বছরেও বই উৎসব করার মতো অবস্থা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কাজেই সব স্কুলে ক্লাস ধরে ধরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করবে। সেই বিতরণের নিয়মে কোনো সমস্যা হবে না। শিক্ষার্থীরা সবাই হাতে বই পেয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধির কারণে ১ তারিখে সবাইকে বই দিতে পারব না। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে। বাকি ৫ শতাংশ বই ৭ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে।

ছাপাখানার কাজের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২১ কোটি বই বাঁধাই হয়েছে, সরবরাহ হয়েছে ১৭ কোটির বেশি। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সবই প্রায় হয়ে যাবে। তারপরও হয়তো খুব স্বল্পসংখ্যক বাদ থাকতে পারে। সেটাও আমরা আশা করছি অবশ্যই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে আমরা দিয়ে দিতে পারব।

দীপু মনি বলেন, আমি এখানে দেখলাম কাজ পুরোদমে চলছে। তাদের যতটুকু কাজ পুরোটাই হয়ে গেছে। এখন কিছু বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। তারা দুইদিনের মধ্যে এগুলো সব সরবরাহ করে দিবে।

তিনি জানান, ১৫৮টি প্রেসে মাধ্যমিকের ও ৪২টিতে প্রাথমিকের কাজ চলছে। তদারকির জন্য একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবির পক্ষে সপ্তাহে দুই-তিনদিন প্রেস পরিদর্শন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিকের বইয়ের টেন্ডারে একটি সমস্যা হয়েছিল, সেটা আবার করা হয়েছে। সেটাও আশা করছি ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে।

নতুন বইয়ে ভুল থাকলে তা ঠিক করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি ভুল যেন না হয়। আর নিম্নমানের কাগজ দেওয়া হলে সেসব প্রেসকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। যদি মান নিয়ে কেউ দুর্নীতি করে, খারাপ মানের বই দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে আমরা ভেবেছিলাম ১০০টি স্কুল নেব। এখন আমরা ৬০টি স্কুলে নিয়ে এসেছি। তারপরও এ সংখ্যাটা ঠিক আছে, গবেষণার ভিত্তিতে যতটুকু দরকার।

পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তার কারণ হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী ভর্তি হতে জানুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। কাজেই সব শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ট্রাই আউট শুরু করতে পারব না। স্কুল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সারাদেশের ভৌগলিক বৈচিত্র্য দেখা হয়েছে। শিক্ষার্থীর ধরণ, সামাজিক প্রেক্ষাপট- সবই চিন্তা করে করা হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক যাত্রায় মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণির ‘অল্প বই’ থাকায় পহেলা জানুয়ারির আগেই তা প্রস্তুত হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

কোভিডের সংক্রমণ কমে আসায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধাপে ধাপে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় বিশ্বজুড়েই বিধিনিষেধ কঠোর হচ্ছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দিনাজপুরে বিএনপির পদযাত্রা

কুড়িগ্রামের উলিপুরে দাদার ইচ্ছা পূরণে পালকিতে করে বউ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন জাকারিয়া সরকার

ভাষাসৈনিক ও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দবিরুল ইসলামের স্ত্রীর মৃত্যু !

মা সমাবেশের আলোচনায় জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য মায়ের পুষ্টিতে সফলতা অর্জন করতে হবে

রাণীশংকৈলে পাট চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে সার বিতরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের বিভাগীয় কমিশনারের হুশিয়ারী

পঞ্চগড়ে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ৭৫ বস্তা চা আটক

বিদেশী সুস্বাদু আপেল চাষের সফলতা দিনাজপুরে, দেখাচ্ছে আগামী দিনের সোনালী স্বপ্ন

বীরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সিভিল সার্জনের পরিদর্শন

অপরাধ বন্ধে মুঠোফোন উদ্ধারে বিসিপিআরটিএ পঞ্চগড় সহ সকল জেলায় কাজ করছে